দাবি মেনে নিতে কাতারকে বেঁধে দেয়া সময়সীমা ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি করেছে সৌদি আরব ও অন্য তিনটি আরব রাষ্ট্র। এ সময়ের মধ্যে যদি দেশটি দাবি মেনে না নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরো অবরোধ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, উগ্রপন্থি সংগঠন ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সম্প্রতি। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। তবে তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে অবরোধ। তা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে এগিয়ে এসেছে কুয়েত। এরই মধ্যে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা কাতারকে ১৩ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো আল জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে হবে। এসব দাবি পূরণ করার জন্য রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। সেই সময় শেষ। তবে কাতার বলেছে, তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বক্তব্য আজ সোমবার একটি চিঠির মাধ্যমে হস্তান্তর করবে কুয়েতের কাছে। এ জন্য আজ সোমবার সকালে একটি চিঠি নিয়ে কুয়েতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি। এই চিঠিটি কাতারের আমির লিখেছেন কুয়েতের আমিরের কাছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি শনিবার বলেছিলেন, সৌদি আরব ও তাদের জোটের দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করছে তার দেশ। তবে যথাযথ শর্তের অধীনে তারা আলোচনা করতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, কাতারের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিতভাবে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়েছে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশ মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরো কিছু দেশ। ২৩শে জুন তারা কাতারকে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে তাদের দাবি পূরণ করতে বলে। এর মধ্যে অন্যতম দাবি হলো কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খর্ব করা, আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া। এমন অবস্থায় কাতার এক ভয়াবহ অস্থিরতায় পড়ে। দেশটিতে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা হয় প্রধানত তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে। ফলে অবরোধ দেয়ায় তারা ভয়াবহ এক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। এ কারণে কাতারে খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রমবর্ধমান হারে সরবরাহ করে যাচ্ছে ইরান ও তুরস্ক। সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের অভিযোগ তাদের বিরোধী যারা তাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে কাতার। এর মধ্যে রয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড। তাদেরকে আল জাজিরা টেলিভিশনের মাধ্যমে প্লাটফর্ম করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।