মো: আকরাম খাঁন: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজারের অবস্থিত আর এম রনি প্রাইভেট হাসপতালের পরিচালক ভূয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার আর এম রনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া বাজারে অবস্থিত লাইসেন্স বিহীন আর এম রনি প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী সেবার নামে চলছে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, বিভিন্ন ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে কিনিকের পরিচালক ভূয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার আর এম রনি এবং অবৈধ ভাবে ভারত থেকে আসা ভূয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার তরিকুল ইসলাম রোগীদের আল্ট্রা¯েœাগ্রাম সহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করে যাচ্ছে। যাদের চিকিৎসা বিষয়ে কোন সনদ নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, আর এম রনি এস.এস.সি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে কিন্তু তিনি তার প্রেসক্রিপ্শন প্যাডে ডি.এম.এফ এবং ডি.ইউ.এম.এস অধ্যয়ণরত পরিচয় লেখেন। এছাড়া প্যারামেডিকেল এন্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (পিটিএফ) বোর্ডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবেও পরিচয় দেন। বর্তমানে তিনি মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন কিনিক এবং ফার্মেসীতে এসিডের মাধ্যমে নাকের পলিপাস এবং মলদ্বারের পাইলস এর অপারেশন করে থাকেন। সম্প্রতি ভূয়া ডিগ্রীধারী ডাক্তার আর এম রনি পার্শ্ববর্তী চৌগাছা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের তরিকুলের স্ত্রী সালেহা খাতুন (৪৫) কে পাইলস অপারেশন করলে তিনি পরের দিন মারা যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কলহের সৃষ্টি হলে অর্থের বিনিময়ে তা নিষ্পত্তি করে। আর এম রনি প্রাইভেট হাসপাতালটির কোন অনুমোদন নেই। বর্তমানে কিনিকের অপারেশন থিয়েটারে কোন হাইড্রোলিক টেবিল নেই, মেডিকেল ডাক্তার নেই, ডিপ্লোমা কোন নার্স নেই, ডিপ্লোমা ল্যাব টেকনিশিয়া নেই, ইমাজেন্সি লাইট নেই, অজ্ঞান করার জন্য কোন এ্যনেসথেশিয়া মেশিন নেই, রক্ত বন্ধ করার জন্য ডায়াথামি মেশিন নেই। কিনিকের সাইন বোর্ডে এ্যাম্বুলেন্স এর কথা লেখা থাকলেও তার কোন অস্তিত্ব নেই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিনিকটির জন্য আবেদন জমা আছে। কিন্তু কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তারা কিভাবে কার্যলাপ চালাচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিনিক পরিচালক আর এম রনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।