সুন্দরবনের বনদস্যু ‘গুরু বাহিনী’ প্রধানসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬৩ রাউন্ড গুলিসহ দেশি তৈরি পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী সংলগ্ন নন্দবালা খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা গুরু বাহিনীর প্রধান মো. আনিস মোল্লা ওরফে গুরু (৩৪) ও তার সহযোগি আকরাম সানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয় দুটি একনলা বন্দুক, দুটি দোনলা বন্দুক, একটি এলজি ও ৬৩টি বিভিন্ন ধরনের গুলি। গ্রেপ্তারকৃত বনদস্যুদের বাড়ী বাগেরহাটে।
এলিট ফোর্স র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, সুন্দরবনে সম্প্রতিক সময়ে মো. আনিস মোল্লা ওরফে গুরু নামে এক যুবক তার ৬ থেকে ৭ জন সহযোগিকে নিয়ে একটি বনদস্যু বাহিনী গড়ে তোলেন। গুরু নামে এই বনদস্যু বাহিনীটি বেশ কিছুদিন ধরে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কিছু এলাকায় জেলে ও বনজীবীদের কাছে চাঁদাবাজি শুরু করে। বুধবার জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী সংলগ্ন নন্দবালা খাল এলাকায় র্যাব সদস্যরা অভিযানে নামে। এসময় বনদস্যু গুরু বাহিনীর সদস্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে বাহিনীর প্রধান আনিস মোল্লা ওরফে গুরু ও তার অন্যতম সহযোগি আকরাম সানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বনদস্যু বাহিনীর নৌকায় তল্লাসি চালিয়ে পাঁচটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আনিস মোল্লা ওরফে গুরু তার নামে বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে করেছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারকৃক বনদস্যু গুরু বাহিনী প্রধানসহ দুইজনের বাড়ী বাগেরহাটে। তাদের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।