ঈদের পর চাটমোহরের বিনোদন কেন্দ্র বওশা এলাকায় চাটমোহর পৌর সদরের কতিপয় ঊশৃঙ্খল যুবকের সাথে বওশা এলাকার মানুষের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে একের পর এক মারপিটের ঘটনা অব্যাহত আছে। পৌর সদরের উশৃঙ্খল সংঘবদ্ধ কয়েকজন যুবক বওশা এলাকার চরসেনগ্রাম, মহাজের পাড়াসহ এর আশপাশের মানুষকে পৌর সদরে পেলেই মারপিট করছে। ইতিমধ্যে উক্ত এলাকার মহাজের পাড়ার মৃত শেরালী ফকিরের ছেলে মহসীন, মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মাজদুল, রায়হান ও মুরাদকে বিনা দোষে মারপিট করে আহত করেছে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে উক্ত এলাকার কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ পৌর সদরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি থানা সামনে পৌছিলে মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ায় ফরিদ মেম্বরকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ঈদের ২/৩ দিন পর চাটমোহর সদরের কয়েকজন যুবক বওশা এলাকায় বেড়াতে যায়। তারা একটি নৌকা নিয়ে হৈ হুল্লোর করতে থাকে। নৌকার মালিক তাদের হৈ হুল্লোর করতে নিষেধ করায় নৌকার মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা নৌকা মালিককে অহেতুক মারপিট করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উক্ত যুবকদের কয়েকজনকে গনপিটুনী দেয়। পরে চাটমোহর সদরের যুবকেরা বওশা এলাকার মহাজের পাড়া গ্রামের মহসীনকে মারধোর করে ফিরে আসে। এর পর তারা বারংবার উক্ত এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে মহরা দেয়। এসব ঘটনায় এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পরে। বুধবার তারা ফের বওশা এলাকার এক যুবককে চাটমোহর জার্দিসমোড় এলাকায় মারপিট করে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয় এলাকাবাসী। দলমত নির্বিশেষে বুধবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল করে।
এ ব্যাপারে বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানান, এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিবেশ ক্রমেই বেশি অশান্ত হয়ে উঠছে। বওশা এলাকার মানুষকে প্রতিদিনই চাটমোহর সদরে যেতে হয়। বিষয়টি সমাঝোতা না হলে যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি এস এম আহসান হাবীব জানান, উক্ত এলাকায় এত ঘটনা ঘটছে কেউ আমাকে কিছুই জানায় নি। কেউ কোন অভিযোগ ও করে নি। তবে এ ব্যাপারে সমাঝোতার লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় থানায় ডাকা হয়েছে।