শেরপুরের নকলায় ট্রাফিকের নিরলস কার্যক্রমের জন্য শহরে যানজট কমেছে। ফলে যানজটহীন স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পেরে উপজেলাবাসী মহাখুশি। শহরের ভিতরে ১০ থেকে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ নকলা উপজেলার সব পেশাশ্রেণির যোগাযোগ ও চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। তথ্যমতে, গত বছরের শেষদিকে নকলা ও নালিতাবাড়ী দুই উপজেলা নিয়ে নতুন একটি ট্রাফিক গঠন করে সংশ্লিষ্ট দফতর। নতুন ওই জোনে চলতি বছরের ১১জানুয়ারি মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) পদে কাজে যোগদান করেন। তাঁর নেতৃত্বে টিএসআই আব্দুছ সালাম, এএসআই রফিকুল ইসলাম ও সুমন, কন্সটেবল বিল্লাল হোসেনসহ নকলায় কর্মরত ট্রাফিকদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় শহরের নালিতাবাড়ী যাওয়ার মোড়, ঝুমুর সিনেমা হল চত্ত¡র, জোড়া ব্রীজপাড়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মোড়, ধানহাটা মোড়সহ বেশকিছু জনবহুল স্থানকে তিনি যানজট মুক্ত করতে পেরেছেন। জনচলাচল নিরাপদ করতে উচ্ছেদ করা হয়েছে নিষিদ্ধ স্থানে বসা অনেক অবৈধ দোকান পাঠ। মুক্ত হয়েছে রাস্তা বা রাস্তার দুইপাশ। ফলে সৌন্দর্য্য ফিরে পেয়েছে নকলা শহরের বেশ কিছু গুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা ও চত্ত¡র।
টিআই মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন জানান, আগামী দুই এক মাসের মধ্যে নকলাকে শতভাগ যানজট মুক্ত করা হবে। এতে রাস্তার পাশে বসা আরও অনেক অবৈধ দোকান পাঠ উচ্ছেদ করা হতে পারে। অবৈধ উচ্ছেদের সময় ট্রাফিক ও পুলিশ প্রশাসনকে সবাই সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন টিআই শাহাব উদ্দিন। স্থানীয় এমপি সফল কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকাকে শতভাগ যানজট মুক্ত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করে সড়ক ও পরিবহণের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকদের নিয়ে কয়েকদফায় পরামর্শ মূলক উন্মুক্ত আলোচনাসভাও করেছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নকলা উপজেরা শাখার সভাপতি ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল, সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মজিদ কডা ও সাধারণ সম্পাদক জরিপ হোসেনের সাথে কথাবলে জানা গেছে, আগে যানজট বিড়ম্বনায় প্রায়ই বিচার শালিস করতে হতো, বর্তমানে যানজট না হওয়ায় তা আর করতে হয়না। রাস্তার পাশে দোকান উচ্ছেদ হওয়া বেশ কয়েকজন দোকানি জানান, কয়েকদিন পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে একটু কষ্ট হলেও, দেশ ও জাতীর স্বার্থে যানজট নিরসনে তাদের দোকান উচ্ছেদ হলেও তারা বিরক্ত নয় বরং বেশ খুশি। ধান ব্যবসায়ী রাজ্জাক, দুলাল ও মোস্তা সহ অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, গতবছর পর্যন্ত বাজারের দিন (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) যানজটের জন্য এক ঘন্টার মধ্যে ধান হাটি ডুকতে পারা ছিলো ভাগ্যের বিষয়, কিন্তু এবছর কোন যানজট নজরে পরেনি। ব্যবসায়ীরা খুব শান্তিতে ব্যবসা করতে পেরেছেন। চন্দ্রকোণা রোডের সিএনজি চালক রাব্বীনুর ইসলামসহ শেরপুর, নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহ, ফুলপুর ও নারায়নখোলা রোডের বেশ কয়েকজন অটো, সিএনজি চালক বলেন, নকলায় ট্রাফিক দেওয়ার পরথেকে তারা খুব শান্তিতে ড্রাইভারী করতে পারছেন। কিন্তু এর আগে প্রায়ই তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার, পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহŸায়ক এফ এম কামরুজ্জামান রঞ্জুসহ সুধীজনরা নকলায় ট্রাফিক কার্যক্রমের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।