জীবন বাঁচাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাহায্য চেয়েছেন পাকিস্তানি যুবতী ফাইজা তানভীর (২৫)। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই জাতীয়তার দিকে না তাকিয়ে, মানবতার দিক বিবেচনা করে তাকে চিকিৎসা নিতে মেডিকেল ভিসার জন্য টুইটারে আবেদন করেছেন ফাইজা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এতে বলা হয়, ফাইজা বেশ কয়েকবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি ভারতে এসে মুখে টিউমার থেকে সৃষ্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু তারা তাকে বার বারই বিমুখ করেছে। পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ভারতের গাজিয়াবাদে অবস্থিত ইন্দারপ্রস্থ ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে (আইডিসিএইচ) এসে চিকিৎসা করাতে চান ফাইজা। এ জন্য তিনি অগ্রিম ১০ লাখ রুপি জমা দিয়েছেন। কিন্তু ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশন তার ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফাইজার মা অভিযোগ করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে এ জন্য তাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে ভারতীয় হাই কমিশন। এ জন্যই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ফাইজা বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। সেখানেই তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ফাইজা পোস্ট করেছেন তার একটি ছবি ও ভিডিও। তাতে তার মুখের টিউমার দেখা যায়। এক টুইটে তিনি সুষমা স্বরাজকে ট্যাগ করে লিখেছেন, দয়া করে আমার জীবন বাঁচাতে সহায়তা করুন, ম্যাম। আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, সুষমা জি দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।
উল্লেখ্য, এর আগে আরেক পাকিস্তানি ভিসার জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সহায়তা চান। তার আবেদনে সাড়া দেন সুষমা। ফলে গত মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানি আড়াই মাস বয়সী শিশুকে মেডিকেল ভিসা দিয়েছে ভারত। ওই শিশুটি হার্টের সমস্যায় ভুগছিল। ওই টুইটে শিশুটির পিতা লিখেছিলেন, অনেক দিক থেকে আমাদের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মানবতা বিকশিত হচ্ছে। এটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আপনার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ। মানবতার জয় হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা সবার প্রতি সদয় হোন।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতি মাসে প্রায় ৫০০ রোগি চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের অনেকেরই লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ খাতে খরচ লাগে ২০ থেকে ৩০ লাখ রুপি।