রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত এক সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আরাফাত রহমান ডেইলি স্টারের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) জরুরি বিভাগের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীগামী দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে ক্যাম্পাসে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়। কুমিল্লায় ভাড়া নিয়ে বাসের সুপার ভাইজারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
আরাফাতের বরাত দিয়ে তার সহপাঠীরা জানায়, বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে একটি বাসে ভাঙচুর চালিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক আরাফাতকে বেধড়ক মারধর করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীগামী দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে ক্যাম্পাসে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়। কুমিল্লায় ভাড়া নিয়ে বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়েল মেইন গেটে জড়ো হন ছাত্রলীগের ১৫-১৬ জন নেতাকর্মী। বাসটি সেখানে আসলে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্রলীগনেতাকর্মীরা।
এসময় সাংবাদিক আরাফাত তার ক্যামেরায় ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন ৭-৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবণ ও বিজয় মারধরে নেতৃত্ব দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরে মেইন গেটে দায়িত্বরত পুলিশ আরাফাতকে উদ্ধার করে। তার চোখে মারাত্নক জখম হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন হাসাপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসের সুপারভাইজারের ঝামেলা হয়েছিল। এজন্য শিক্ষার্থীরা হালকা বাস ভাঙচুর করেছে।
সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, আামি বিষয়টা শুনেছি। আমাদের কেউ জড়িত ছিল কিনা জানিনা। পুলিশের কিছু লোক সিভিল পোশাকে ছিল। তারাই আরাফাতকে মারধর করতে পারে।
তবে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, কয়েকজন ছাত্র বাসটিতে হালকা ভাঙচুর করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সময় একজনকে মারধর করতে দেখলে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেছে। মারধরকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র।