ভয়াবহ পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বড়খাপুর গ্রামটি।
বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় প্রচুর ফসলি জমি গ্রাস করে, নদী এবার গ্রাস করছে গ্রামটিকেই।
এবারে বর্ষা শুরু হতে না হতেই গ্রামের বিস্তির্ণ জনবসতি এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পরেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড়খাপুর গ্রামের প্রায় ২শ বছরের পূরনো ঐতিহাসিক বট ও পাকুড় গাছ প্রায় ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হতে বসেছে।
এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে হয়তো আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে গাছগুলি।
এছাড়া গ্রামটিতে ভাঙ্গনের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি মন্দির, ৪টি মসজিদ ও ১টি এতিমখানাসহ মাদ্রাসা রয়েছে।
একটু দূরেই রয়েছে নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ফেরীঘাট সহ নাজিরগঞ্জ বাজার। যার সবই এখন হুমকির মূখে।
এক সময়ে প্রচুর চীনা বাদাম, মসুর, কালাই, ধান , পাট, পিঁয়াজ উৎপাদিত পদ্মার বিস্তির্ণ চর এখন শুধুই অতীত। বাকী ছিলো বসত বাড়িটুকু। সেটাও এখন বিলীন গওয়ার পথে।
গ্রামের গরীব খেটে খাওয়া মানুষগুলো সহায় সম্বল হারিয়ে আজ দিশেহারা। তারা এখন তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে।
দ্রুত সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা দর্শন করে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।