মো: আকরাম খাঁন: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় উত্যাক্তকারীরা নানা কৌশলে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদেরকে প্রেমের ফাদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে বিবাহ করছে। নিরুপায় অভিভাবকরা, বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে শিশুরা।
উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের পলিয়ানপুর গ্রামের নজের শেখের কন্যা নাসরিন খাতুন(১৪)। সে জিন্নানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। তাকে একই গ্রামের পান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের পুত্র সোহাগ ও সোহেল, শহিদুল ইসলাম ওরফে গরবার পুত্র নাহিদ, আরশাদ আলীর পুত্র উসমান বিভিন্ন সময় উত্যাক্ত করত। উত্যাক্তকারীরা নাসরিনকে সোহাগের প্রেমের ফাদে ফেলতে সক্ষম হয়। তারপর নাসরিনের অভিভাবকের কাছে বিয়ে প্রস্তাব রাখে তারা। অভিভাবক রাজি না হাওয়ায় সোহেল, নাহিদ ও উসমানের সহযোগীতায় তাকে নিয়ে পালায় সোহাগ।
নাসরিনের পিতা নজের আলী জানান উত্যাক্তকরীরা আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ফাদে ফেলে এই সর্বনাশ করেছে। তারা আমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখলে আমি রাজি হইনি। তাই আমার উপর প্রতিশোদ নেওয়ার জন্য তারা আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। এবিষয়ে বখাটেদের হুমকির মুখে সে আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।
সোহাগের বড় ভাই সোহহেল জানান, আমার ভাই নাসরিনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তারা বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী। তিনি আরো বলেন তাদের বিয়ের আগে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোতি নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ছেলেটি মেয়েটিকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছে।
এছাড়া উপজেলা গত ৪জুলাল নতুল কোলা গ্রামের দোলা মিয়ার পুত্র রাকিবুল ইসলাম একই গ্রামের কোলা মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী কে ফুসলিয়ে ফাদে ফেলে তাকে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় এক শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ে। মেয়েটিকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাকিবুলরা প্রভাব শালী হওয়ায় কিছুই করতে পারেনি ভিকটিমের পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য উসমান গনির সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি শুনেছি, বিষয়টি নিয়ে কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। নিজেরা নিজেরাই মিমাংশা করে ফেলেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কাউকে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্প্রতি মহেশপুরে এখন বখাটেদের উতপাদ বেড়েই চলেছে। যাহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।