যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বৃটেন সফর যথার্থ না-ও হতে পারে বলে মনে করেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। সিএনএনকে সাদিক খান এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সাধারণ সফর আর রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আর সেই সফরের কথা এমন এক সময়ে বলা হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গৃহীত নীতির সঙ্গে আমাদের অনেক দেশই ভিন্নমত পোষণ করে। তাই তাকে আমাদের সরকারের লাল গালিচা বিছিয়ে দেয়া যথাযথ হবে কিনা সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সাত দিন পরে প্রথম বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে হোয়াইট হাউজ সফরে যান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ওই সময় তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে বৃটেন সফরের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই সফর এ বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা। তেরেসা মে তখন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে আমি খুশি। কিন্তু বৃটেনের মানুষ দ্বিধাবিভক্ত। তাদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধী। তাকে বৃটেনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে। সেই বৃটেনে অভ্যর্থনায় ঘাটতি পড়বে বলে শঙ্কিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই তিনি সম্প্রতি তেরেসা মের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বেটার রিসেপশন’ নিশ্চিত করতে। এমনটা নিশ্চিত হলেই তিনি বৃটেন সফরে আসবেন। সে জন্য প্রয়োজনে আগামী বছরে তিনি বৃটেনে আসার কথা বলেছেন। মিডিয়ায় এ নিয়ে যখন তীব্র আলোচনা, সমালোচনা তখন সাদিক খান ওই কথা বলেছেন। এমনিতেই ট্রাম্পের সঙ্গে তার এক রকম বিরোধ চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা নিয়ে তাদের এই বিরোধ।