ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নেমেছেন লাখ লাখ মানুষ। বিক্ষোভে পুলিশ ও বিক্ষোভকারিদের মধ্যে ঘটা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছন তিন জন। আহত হয়েছেন ৩০০ শ’র বেশী। এ নিয়ে এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে নিহত হয়েছেন প্রায় ১০০ মানুষ। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এবারের বিক্ষোভ নিয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, ‘বিক্ষোভটি ছোট আকারের। এর নেতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ বিবিসির খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ক্যারাকাসসহ অন্যান্য শহরে আবর্জনা ও ফার্নিচার দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখছে। বিরোধীদল বলেছে, দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছ। কিন্তু রাজধানীর সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে পরস্থিতি স্বাভাবিকই রয়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে পুলিশ সদস্যরা। এমন সংঘর্ষেই ক্যারাকাসে একজন ও ভ্যালেন্সিয়া শহরে ২ জন নিহত হন। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, দেশজুড়ে গ্রপ্তার করা হয়েছে ৩৬০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে। টিভিতে দেওয়া এক বক্তব্যে বিক্ষোভ নিয়ে মাদুরো বলেন, ‘এটি একটি বিশাল জয়। প্রধান সেক্টরগুলো বিক্ষোভে যোগ দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজ, জয় করেছে ভালোবাসা, জীবন আর আশাকে। কাজের জয় হয়েছে। তারা, (বিরোধীদল) যারা কখনোই কাজ করেনি, তারা কাজ না করেই থাকুক। আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, সঙ্গীরা।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি সকল ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসদেরকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিয়েছি।’
বিরোধীদলীয় এই বিক্ষোভের মূলে রয়েছে নতুন গণপরিষদ নির্বাচন। নির্বাচিত হলে, এই পরিষদের হাতে পুনরায় সংবিধান লেখা ও বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত আইনসভাকে না মেনে চলার ক্ষমতা থাকবে। বিরোধীদলের মতে, মাদুরো এই পরিষদ ব্যবহার করে নিজেকে ক্ষমতার পরিখা দিয়ে সুরক্ষিত করতে চান। আর তাই মাদুরোকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এই বিক্ষোভে নেমেছে জনগণ। ইতিমধ্যে, কলোম্বিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মাদুরোকে এই নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু মাদুরো তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।