এখন জীবন খুব ফাস্ট। জাগতিক চাহিদাগুলো মেটানোর তাগিদটাই এখন বেশি। এ যুগে প্রেম, ভালোবাসার সংজ্ঞাটাই যে পালটে গেছে! এখন আর হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে সন্ধে কাটানোর স্বপ্ন দেখে না প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল। একজনের মনে কিঞ্চিত প্রেম জাগলেও, অপরপক্ষের জন্য সেটা শুধুই টাইমপাস। শুধুই শরীরী খেলা।
এ হেন পরিস্থিতিতে কারোর থেকে জেনুইন প্রেম আশা করা কঠিন। কিন্তু তাও হৃদয়ে খাঁটি প্রেমের আশা জিইয়ে রাখেন কেউ কেউ। বুঝতে চেষ্টা করেন, সঙ্গীর প্রেম সত্য, নাকি কেবলই রতিলীলা। সত্যতা যাচাই করতে কয়েকটি টিপস্ রইল।
১] চেনাজানা কারোর বাড়িতে লেট নাইট পার্টিতে দেখা হয় দু-জনের। সেই রাতে দু-জনেই মদ্যপান করেন। একটা সময়ের পর যখন পার্টির প্রায় সকলেই তন্দ্রাচ্ছন্ন, আপনাদের মধ্যে এমন কিছু হয় যা কারোর জানা নেই। সেই শুরু। এখন প্রায় সারাটা দিনই হোয়ার্টস্ অ্যাপে কথোপকথন চলে। কিন্তু সেই আলাপচারিতা বেশ মাখোমাখো গোছের ইঙ্গিত দেয়। প্রেমের কথা হয় কম। যৌনতা ও শরীর নিয়ে কথা হয় বেশি।
] ঘনঘন দেখাও করেন দু’জনে। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, কোনও সাক্ষাৎই দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় হয় না। বেশিরভাগটাই হয় রাত ৯টার পর। এবং সেই সাক্ষাতের ঠিকানা সঙ্গীর ফাঁকা ফ্ল্যাট বা আপনার নিঝুম বাড়ি। সময়টা বেশিরভাগটাই কাটে বিছানায়।
৩] খেয়াল করে দেখুন, এই ক’টি দিনে আপনারা কিন্তু এক বারের জন্যেও একে অন্যকে জানার চেষ্টা করেননি। ব্যক্তি মানুষটি কেমন জানতে চাননি। কাছাকাছি কোনও কফিশপে একবারের জন্যেও কফি খেতে যাননি। কেননা, একসঙ্গে সিনেমা দেখাকে সঙ্গী মনে করেন সময় নষ্ট। লং ড্রাইভ পেট্রল নষ্ট। রেস্তরাঁয় খাওয়া পয়সা নষ্ট।
৪] আপনারা একে অপরের বন্ধুসার্কেল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। সঙ্গী কখনও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে আপনার পরিচয় করিয়ে দেননি। আপনার বন্ধুসার্কেল সম্পর্কেও তাঁর জানার কোনও আগ্রহ নেই।
৫] সঙ্গী সম্পর্কের শুরুতেই যদি জানিয়ে দেন, যে তিনি কমিটেড নন, তা হলে জেনে রাখুন বিষয়টা শুধুই শরীর সর্বস্ব। এমন মানুষের সঙ্গে কোনওদিনও ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখবেন না। কয়েকটা মুহূর্ত কাটিয়ে বাই বাই জানিয়ে দিন। ইমোশনালি জড়াতে গেলেই দুঃখ পাবেন।
৬] যৌন মিলনের পর রোম্যান্টিক আউটিংয়ে যেতে চাইলে কখনওই সঙ্গীকে কাছে পান না। নানা রকম অজুহাত দেখাতে শুরু করেন তিনি। বলেন, বাবা-মা বাড়িতে অপেক্ষা করছে, তাঁকে তখনই বাড়ি ফিরতে হবে। না হলে, রুমমেট চিন্তা করছে। পোষ্য বিড়ালটিকেও খেতে দিতে হবে। তবে হ্যাঁ, জেনুইন কারণে বাড়ি ফেরার কারণ থাকলে আপনাকেও অনেকটা সহনশীল হতে হবে। তখন অবুঝের মতো নিজের জোর খাটানো যাবে না। তাই ভালো করে যাচাই করে নিন সঙ্গীর দেখানো কারণগুলি আদতেও সত্য কি না!
আরএম-১২/২১-০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, সূত্র: ইনাদোইন্ডিয়া)