সুপ্রিম কোর্টকে আইন করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রতিবাদে ফুঁসছে পোল্যান্ড। ওই আইনে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এমপি ও আইনমন্ত্রীকে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। গতকাল রাতে রাজধানী শহর ওয়ারশ’তে এমন বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বলা হচ্ছে, পোল্যান্ডের ১০০টি শহরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা ও তার ডানপন্থি ল’ অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির বিরুদ্ধে নগ্নভাবে ক্ষমতাকে গ্রাস করার অভিযোগ আনছেন সমালোচকরা। কিন্তু দলটি বলছে, বিচার বিভাগের সংস্কারের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। ওই আইনের অধীনে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচারকদের বাধ্যতামূলকভাবে আগাম অবসরে যেতে বাধ্য করা যাবে। একই সঙ্গে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারবেন আইনমন্ত্রী ও এমপিরা। পোল্যান্ড পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ১৬ ঘণ্টা বিতর্কের পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার সামান্য আগে এ বিলটি অনুমোদন দেয়।
এতে দেশজুড়ে শতাধিক শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদেশি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ওয়াশিংটনে। সতর্কতা উচ্চারণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা বলছে, সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বড় ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে সিএনএন জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শতকরা ৫৫ ভাগ নাগরিক চাইছেন, প্রেসিডেন্ট এ আইনের ওপর ভেটো দিন। অন্যদিকে এর উল্টো অবস্থান নিয়েছেন শতকরা ২৯ ভাগ নাগরিক। প্রেসিডেন্টের সামনে এমন ভেটো দেয়া অথবা আইনে স্বাক্ষর করতে এখন তার হাতে আছে ২০ দিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই আইনকে অনুমোদন দেবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সপ্তাহের শুরুতে অনুচ্ছেদ ৭ ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে। বলেছে, এর অধীনে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়া হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির যুক্ত হওয়ার অধিকার বিষয়ক ভোট স্থগিত করা হতে পারে। এমন পদক্ষেপ এর আগে দেখা যায় নি।