‘আমি বাঙালি। আমার বড় পরিচয়। আমার এই পরিচয়টিকে ‘এবিপি আনন্দ’ সম্মান জানিয়ে এবারের ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ সম্মান পাওয়ার আমি এখনো পুরোপুরি যোগ্য নই। অভিনয় স্কুলে মাত্র অ, আ, ক, খ শিখতে শুরু করেছি। তারপরও যেকোনো স্বীকৃতি এটি অন্তত নিশ্চিত করে, আমি ভুল পথে নেই।’Ñকথাগুলো অভিনেত্রী জয়া আহসানের। গতকাল আনন্দবাজার গ্রুপের টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের পক্ষ থেকে ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কার পান এই অভিনেত্রী। আর তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতায়ও সমান জনপ্রিয় এখন জয়া। কলকাতার ছবিতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন। কোনো সিনেমায় জয়া আহসান আছেন শুনলে দর্শকরা হলমুখো হচ্ছেন। হাউসফুল হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের গুণী এই অভিনেত্রী আরো বলেন, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির সমৃদ্ধি সাধনে যে শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা ত্যাগ ও নিরলস কর্ম করে গেছেন আমিও তাদের মতোই একজন নিরলস কর্মী। আমার আগে এই সম্মানে যারা ভূষিত হয়েছেন তাদের কাতারে নিজেকে দেখতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী, বিভাষ চক্রবর্তী, পি সি সরকার জুনিয়র, বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে দাঁড়িয়ে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে পারাটা নিশ্চয়ই আমি মনে রাখব আজীবন! এছাড়া জয়া আহসান আয়োজক এবং জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তার কাজের সাথে জড়িয়ে থাকা প্রতিটি শিল্পীকে, একজন নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, সহশিল্পী, রূপসজ্জাকর, চিত্রগ্রাহক, পোশাক পরিকল্পক, শিল্প নির্দেশক এবং অবশ্যই আমার দর্শকদের, আপনাদের নিঃস্বার্থ মায়ার টানেই আমি আমার সর্বস্ব দিয়েছি অভিনয়কে। ধন্যবাদ। এবারের আসরে জয়া আহসান, ক্রিকেটার মাশরাফির পাশাপাশি সংগীতে সেরা হয়েছেন কৌশিকি চক্রবর্তী, নাটকে বিভাস চক্রবর্তী, সাহিত্যে জয় গোস্বামী, বিনোদনে জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র), বাণিজ্যে কে ডি পাল। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান অরূপ রাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিতসহ বিভিন্ন জগতের বিশিষ্টজনরা।