বোর্ড-খেলোয়াড় ইস্যুর মীমাংসা শেষে যথা সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। বেতন-ভাতা ইস্যুতে গতকাল সমঝোতায় পৌঁছে দু’পক্ষ। সিরিজের মেঘ কাটতে দেখে দ্বিগুণ খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এ ঘটনা কেবল অস্ট্রেলিয়ারই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই ভালো খবর বলে মনে করে তারা। গতকাল মিরপুরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সিরিজ। কারণ নিজেদের মাটিতে আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই না। জালাল ইউনুস বলেন, বিসিবি দ্বিগুণ খুশি কারণ আগে দু’বার সফর বাতিল করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫তে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে নিরাপত্তা জুজুতে ওই সফর স্থগিত করে অজি বোর্ড। আর গত বছর বাংলাদেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণে বিরত থাকে অস্ট্রেলিয়া। জালাল ইউনুস বলেন, সম্প্রতি দুবার সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। এবার সব ঠিক থাকায় আমরা অনেক খুশি। এবার তারা আসলে একবারও নেতিবাচক কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। এ কারণে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা।’ বাংলাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট খেলেনি দীর্ঘ ১১ বছর। সর্বশেষ ২০০৬ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০তে জয় দেখে সফরকারীরা। গতকাল মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে দু’পক্ষের সমঝোতার খবর জানান অজি বোর্ড ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসন। পরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো খবর। আমরা বিষয়টির সমাধান দেখতে চাইছিলাম এবং এতে কেবল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই ভালো হলো। আইসিসির সূচিতে অস্ট্রেলিয়া দলের পরবর্তী সফরটা বাংলাদেশে। এজন্য আমরা খুশি এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে আতিথেয়তা দিতে অপেক্ষায় রয়েছি।’
আগামী ১৮ই আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। তার আগে ডারউইনে ক্যাম্পে যোগ দেবেন অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ঢাকায় আগামী ২৭শে আগস্ট। আর চট্টগ্রামে আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।