দোকলাম এলাকা থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করতে ফের সতর্কবার্তা দিয়েছে চীন। ভুটান, ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী ওই এলাকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেইজিং প্রথম থেকেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। ফের তারা একই দাবি জানিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দেশটি বলেছেন, চীন সংযম ধরে আছে কিন্তু সংযত থাকারও একটা সীমা আছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। ভারতের বক্তব্য তাদের মিত্র ভুটান অভিযোগ করেছিল যে তাদের ভূখণ্ডের ভেতরে রাস্তা নির্মাণ করছে চীনের সামরিক বাহিনী। এরপর জুন মাসে দোকলাম এলাকায় ভারতীয় সেনারা প্রবেশ করে। এই দ্বন্দ্বের সঙ্গে ভারতের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই উল্লেখ করে বেইজিং দাবি জানিয়েছে ভারত তাদের সেনাদের সরিয়ে নিক। সেনা প্রত্যাহার করে নিলেই এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে দেশটি। চীন পিছু হঠবে না বলে এ সপ্তাহে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে চীনের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়গুলো এবং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুয়োকিয়াং বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীনের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ বন্ধুত্বের মনোভাব এবং উচ্চ পর্যায়ের সংযম দেখালেও এর একটা সীমা আছে। এক বিবৃতিতে রেন বলেন, ‘শান্তি রক্ষায় চীনা বাহিনীর আত্মবিশ্বাস এবং সক্ষমতা এবং জাতীয় সার্বভৌম, নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক স্বার্থ রক্ষায় চীনের সংকল্প কোনো দেশের খাটো করে দেখা উচিত হবে না।’ প্রসঙ্গত, ৮০’র দশক থেকে সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে চীন ও ভুটানের মধ্যে আলোচনা চলছে। ভুটানের শঙ্কা রাস্তা নির্মাণ তাদের সীমানা আকার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত বলছে, তাদের সেনারা বিদ্যমান ব্যবস্থা না পাল্টাতে চীনা সেনাদের আহ্বান জানানোর চেষ্টা করছে। ভারতীয় কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, ওই রাস্তা নির্মাণ করে চীন সিলিগুড়ি কোরিডোর বা চিকেন্স নেক নামে পরিচিত ছোট্ট ভারতীয় ভূখণ্ডের কাছাকাছি প্রবেশের সুযোগ পেতে পারে। চীন যদি ওই করিডোর বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয় তাহলে তারা ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যাবে।