ঝিনাইদহে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফিরোজ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের আরাপপুর চাঁনপাড়া এলাকায়। ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ ওই এলাকার আনসার আলীর ছেলে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ফিরোজ মোটরসাইকেলে শহরে যাচ্ছিলেন। তিনি চাঁনপাড়া রংধনু প্রি-ক্যাডেটের সামনে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুমন জানান, ঘাড়ের ডান দিকে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার কারণে রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই ফিরোজের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তার সারা শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, নিহত ফিরোজ ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা। শোনা যাচ্ছে দিপু নামে এক যুবক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দিপু আমাদের দলের কোনো লোক নয় বলেও সাইদুল করিম মিন্টু দাবি করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফিরোজকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা ঘটনার পর পরই খুনিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। ঘাতকদের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই মাস আগে দিপু নামে একটি ছেলেকে মারধর করে তার পা ভেঙে দেয় ফিরোজ। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। দিপুর পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অচিরেই খুনের মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে ওসি জানান।