২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহীমের, ইংল্যান্ডের মাটিতে। এরপর নিজ শহর বগুড়াতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৬ এর মার্চে আরো একটি টেস্ট খেলার সুযোগ হয়। কিন্তু দুই টেস্টে সব মিলিয়ে করেন ২৪ রান। সেই বছরই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসে অস্ট্রেলিয়া দল। পন্টিংয়ের দলের বিপক্ষে তাই মুশফিককে খেলানোর সাহস পাননি টিম ম্যানেজম্যান্ট। এরপর একে একে কেটে গেছে ১১ বছর। মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স পেরিয়ে গেছে এক যুগ। খেলতে পেরেছেন মোটে ৫৪ টেস্ট। সব দলের সঙ্গে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হলেও বাকি কেবল অস্ট্রেলিয়া। অবশেষে এবার হচ্ছে সুযোগ। মুশফিকুর রহীম তাই রোমাঞ্চিত।
চট্টগ্রামে অনুশীলন ক্যাম্পের তৃতীয় দিনে গতকাল সেই রোমাঞ্চ উঠে এলো মুশফিকের কণ্ঠে। বলেন, ‘অবশ্যই রোমাঞ্চিত যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবো। সব দলের সঙ্গেই খেলা হয়েছে, শুধু অস্ট্রেলিয়া বাকি ছিল। এবার অনেক বড় সুযোগ। শুধু আমার জন্য না, আমাদের দলের জন্যও। এখন যারা খেলছে, তাদের মধ্যে কেবল মাশরাফি ভাই খেলেছেন অনেক দিন আগে। সবাই জানে চ্যালেঞ্জটা অনেক কঠিন। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন অভিজ্ঞতা দিতে পারবো, যেটা ইংল্যান্ডকে দিতে পেরেছি।’
টেস্ট অধিনায়কের মতে, দীর্ঘ সময় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলতে না পারার যে আক্ষেপ, সেটা ঘোচানো সম্ভব মাঠের ক্রিকেটে জয় দিয়ে।
‘সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে এতদিন না খেলার আক্ষেপটা থাকবে না। মনেপ্রাণে চেষ্টা করতে চাই এবার। কারণ জানি না আবার কবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার সুযোগ আসবে। ১২ বছরে অনেক কিছুই শিখেছি টেস্ট ক্রিকেটে। চেষ্টা করবো সবকিছু কাজে লাগিয়ে ফল আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে।’
দলের লক্ষ্য সম্পর্কে মুশফিক বলেন, ‘তারা শীর্ষ দলের একটা। শুধু দেশের মাটিতে না, উপমহাদেশেও ভালো খেলে। আমি মনে করি যে, এরকম পেশাদার দলের সঙ্গে খেললে সবারই লক্ষ্য থাকে ভালো করার। আমারও ইচ্ছে আছে। তবে আমি প্রতিটি ম্যাচই এক ভাবে দেখি, জিম্বাবুয়ে হোক বা অস্ট্রেলিয়া।’
‘যেটা বলছিলাম, এটা অনেক বড় সুযোগ নিজেদের মাঠে অনেকদিন পর খেলা হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের দর্শকেরাও অনেক রোমাঞ্চিত, কারণ অনেক দিন পর দেশের মাটিতে খেলা হবে। তারা অধীর অপেক্ষায় আছে। আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারলে আশা করি ফল ভালো হবে।’কোচের চাওয়া জয়, অধিনায়কের কণ্ঠেও একই উচ্চারণ। দলের বাকিদের শরীরী ভাষাতেও প্রত্যয়। এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন এবার মাঠে পড়ার অপেক্ষা!