1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
তাহলে বাতি জ্বলে কেন? - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী হৃদয় খানের সঙ্গে জুটি ন্যান্সিকন্যা রোদেলার শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না: বুবলী শাকিবের এমন সময় আমাদেরও ছিল: ওমর সানী কত টাকা সালামি পেলেন জায়েদ খান, দিতে হলো কত লাখ? শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে,দেনমোহর, বিচ্ছেদসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি, বৃহস্পতিবার ঈদ বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় ‘যাত্রীদের মা’র’ধরে’ বাসচালক ও হেলপার নি’হ’ত ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব ‘শাকিবের সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি’ কেন নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করছেন জানালেন হেলেনা জাহাঙ্গীর তসিবা’র ঈদ ধামাকা “জানু স্বামী”

তাহলে বাতি জ্বলে কেন?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭
  • ২৫১ Time View

সোমবার সকাল নয়টা। রাজধানীর কাওরান বাজার মোড়। সিগন্যাল বাতি, টাইম কাউন্টডাউন যন্ত্র চলছে। সংকেত বাতিতে লাল আলো জ্বলে থাকলেও এগিয়ে চলেছে গাড়ির সারি। অন্যদিকে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে। গাড়ির চালক বা ট্রাফিক পুলিশ কেউই খেয়াল রাখছেন না সিগনাল বাতির দিকে। লাল-হলুদ-সবুজ যে বাতিই জ্বলুক না কেন গাড়িচালকরা অপেক্ষায় থাকছেন ট্রাফিক সদস্যদের হাত উঁচিয়ে সংকেত দেয়ার দিকে। এই দৃশ্য শুধু কাওরান বাজারেরই নয়। রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মহাখালী, শাহবাগ, পল্টন ও গুলিস্তানসহ প্রতিটি সিগন্যালে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মোড়ে মোড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগনাল বাতি স্থাপন করা হলেও সেগুলো কোনো কাজে আসছে না। প্রশ্ন উঠেছে এনালগ সিস্টেমে মানুষের হাতের ইশারাতেই যদি নিয়ন্ত্রণ হবে ট্রাফিক। তবে অযথা কেন জ্বলছে বাতি।
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গাড়ি চলাচল করে রাজধানীর রাস্তাঘাটে। অন্যদিকে মানুষের মধ্যে সিগনাল দেখে চলা বা আইন মানার প্রবণতা নেই। তাই বাধ্য হয়েই হাতের ইশারায় সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন সরকারি প্রজেক্টের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বলেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। সিগনালে সেটা অনুসরণ না করলে শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের।
বিজয় স্মরণী মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল হামিদ বলেন, আমরা রাস্তার যানজট দেখে গাড়ি আটকাই আবার যানজট দেখে গাড়ি ছাড়ি। যখন যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময় নিয়েই গাড়ি ছাড়ি বা আটকাই। এখনও সিগনাল বাতি অনুযায়ী এ শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না বলে দাবি ওই ট্রাফিক সদস্যের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যানজট নিরসনে ২০০১-০২ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ৫৯টি সড়কের ৭০টি মোড়ে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। এর মধ্যে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে ৩৪, পূর্ব বিভাগে ১২, উত্তরে ১১টি এবং পশ্চিমে ১৩টি ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। ২০০৯ সালের ২২শে নভেম্বর এ ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। তবে অল্পদিনের মধ্যেই তা শিথিল হয়ে যায়। আবার শুরু হয় হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ। অন্যদিকে চালু হওয়ার মাত্র দু’বছরের মাথায় একে একে বিকল হয়ে পড়তে থাকে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যাডমিন) জাহিদুল ইসলাম  বলেন, প্লানিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন ও এনফোর্সমেন্ট এই চার ভাগে ট্রাফিকের কাজ হয়। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ভাগ পরিচালনা করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। এবং এনফোর্সমেন্টের কাজটা শুধু পুলিশ করে। অতএব ট্রাফিক বাতি জ্বলার তথ্য বা টাকা-পয়সা খরচের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে হয়তো ৪ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এই চারজনের পক্ষে যতগুলো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তার চেয়ে অনেক বেশি গাড়ি চলাচল করে ঢাকা শহরের রাস্তায়। সেক্ষেত্রে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। কারণ আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন শহরের আয়তন অনুপাতে গড়ে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকার কথা। কিন্তু সেটি রাজধানী ঢাকায় নেই। ফলে এই শহরে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ট্রাফিক সিগন্যাল কাজ করে না। এই সিগনাল অনুযায়ী মানুষকে পরিচালনা করা যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিগন্যাল মনিটরিংয়ের জন্য সচিবালয়ের পাশে আবদুল গনি রোডে গড়ে তোলা হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ওই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের কথা। কিন্তু ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা সেখান থেকে পরিচালনা করা হলেও রাস্তার অবস্থা ভিন্ন। রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সিগন্যাল পয়েন্টে আগের মতোই ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা হাতের ইশারা আর বাঁশি ফুঁকে নিয়ন্ত্রণ করছেন যানবাহন। কোথাও কোথাও ট্রাফিক পুলিশকে রশি দিয়েও যানবাহন আটকাতে দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বেতন বাদে রাজধানীর ৭০টি সিগন্যাল বাতিতে বিদ্যুত খরচ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর খরচ হয় প্রায় ৮০ লাখ টাকা। যা সিটি করপোরেশনকেই বহন করতে হয়। অথচ এই ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ের কোনো সুফলই পাচ্ছে না নগরবাসী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রজেক্টের পরিচালক প্রকৌশলী মো. সোহাব উল্লাহ  বলেন, আমেরিকা-জাপানের মতো যেসব দেশে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু আছে। সব দেশেই আমাদের মতো এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। আমরা স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছি। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে বিভিন্ন মিটিং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এভাবে আস্তে আস্তে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com