প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হ্যাক হওয়ার অভিযোগ করেছেন কেনিয়ার বিরোধী দলের নেতা রালিয়া অদিঙ্গা। তার এমন অভিযোগের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তার সমর্থকরা চিৎকার করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছেন। ঘটেছে টিয়ার গ্যাস ছোড়ার ঘটনাও। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে ভোটের দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন উহুরু কেনিয়াত্তা। ৯৪ শতাংশ বুথের ফলাফল প্রকাশ করেছে কেনিয়ার নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা গেছে ৫৪.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন কেনিয়াত্তা আর ৪৪.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ওদিঙ্গা। দুজনের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১৩ লাখ। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি। এই ফলাফল অনুসারে জয় নিশ্চিত কেনিয়াত্তার। এ বিষয়ে কেনিয়াত্তাকে নিয়ে ওদিঙ্গা বলেন, ‘বেশিদিন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারবেন না। ২০১৭ নির্বাচনটি একটি জালিয়াতি।’ প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন কেনিয়াত্তা। যদি তিনি পরাজিত হন তাহলে কেনিয়ার ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। তবে প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা নেই। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ভোট হ্যাক হওয়ার তথ্য কিভাবে পেয়েছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওদিঙ্গা।
এদিকে, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে লড়াই নিয়ে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। ২০০৭ সালে নির্বাচনে হারার পর ওদিঙ্গার তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দাঙ্গা ও বিদ্রোহ। দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে ঘটা ওই সংঘর্ষে নিহত হন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। এবারও তেমনটি ঘটার আশঙ্কা করছেন অনেকে। শুক্রবার কেনিয়াত্তা এ বিষয়ে শান্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেই পরাজিত হোক না কেন, সে যেন তার পরাজয় মেনে নেয়। তিনি বলেন, নির্বাচনে যেই হারুক না কেন, জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। আমি জণগণের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। তাই তাদেরকেও তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন। ইতিমধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে ওদিঙ্গা কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভেও নেমেছে তার সমর্থকরা। ঘটেছে টিয়ারগ্যাস ছোড়ার ঘটনাও।