ইয়েমেনের উপকূলে ৫০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ডুবিয়ে দিয়েছে এক পাচারকারী। এতে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন। অভিবাসন প্রত্যাশীরা সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। ঘটনাটিকে ‘অমানবিক ও জঘন্য’ বলে আখ্যায়িত করে বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এ কথা বলেছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মীরা একটি নিয়মিত পরিভ্রমণের সময় ইয়েমেনের শাবওয়া সমুদ্র সৈকতে ২৯ জন শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীর কবর খুঁজে পায়। ডুবিয়ে দেয়ার পর যারা বেঁচে গেছেন, তারাই মৃতদের কবর দিয়েছেন। আইওএম জানিয়েছে, অন্তত ২২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই ছিলেন ১৬ বছর বয়সী বা তার কাছাকাছি বয়সের।
ইয়েমেনের সংঘর্ষ চলা সত্ত্বেও হর্ন অব আফ্রিকা ও ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সরু পানির অঞ্চলটি একটি বহুল ব্যবহৃত আভিবাসন পথ। এখান দিয়ে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীরা তেল-সমৃদ্ধ ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। আইওএমের ইয়েমেন শাখার প্রধান লরেন্ট দে বোয়েক বলেন, ‘যারা বেঁচে গেছেন তারা আমাদের কর্মীদের বলেছেন যে, ওই পাচারকারী একজন কর্তৃপক্ষ ঘরানার মানুষ দেখার পর তাদেরকে জোর করে পানিতে যেতে বাধ্য করে। তারা এটাও বলেছে যে, ওই পাচারকারী ইতিমধ্যেই আবার সোমালিয়াতে ফিরে এসেছে। যাতে করে সে তার ব্যবসা পুনরায় চালু করতে পারে ও একই পথে আরো অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে যেতে পারে।’ আইওএম কর্মীরা ওই সমুদ্র সৈকতে থাকা বেঁচে যাওয়া ২৭ জনকে সাহায্য প্রদান করেছেন।