রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ চার মাস পেরিয়ে গেলেও ১৫ দিনের জন্য বন্ধ হওয়া অবৈধ সিটিং সার্ভিস বিরোধী অভিযান নতুন করে আর শুরু হয়নি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি আবার নতুন কোন নীতিমালাও তৈরি হয়নি। ফলে আগের মতোই স্বেচ্ছাচারীভাবে ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো।এদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে রাজধানীতে চলছে সিটিং সার্ভিস। গেলো এপ্রিলেই দুই সপ্তাহের জন্য সিটিং সার্ভিস বিরোধী অভিযান স্থগিত করা হলেও চার মাসে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। সিটিং সেবার পক্ষে-বিপক্ষে যাত্রীদের মত থাকলেও এর নামে আদায় করা ভাড়া নিয়ে অভিযোগের কমতি নেই কারো।
ঢাকায় হাতেগোনা কয়েকটি পরিবহনের সেবার মান যাত্রীবান্ধব হলেও বেশিরভাগ পরিবহনের বিরুদ্ধেই আছে অভিযোগ।বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মোজাম্মেল হক‘র মতে যাত্রীদের কথা বিবেচনায় না নিয়েই হঠাৎ অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্তকে পরিবহন মালিকদের কাছে নতি স্বীকার করা হয়েছে।নগর গবেষণা কেন্দ্র’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সুষ্ঠু কোন নীতিমালা না হওয়ায় এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বললেন, নানা সমালোচনা থাকলেও ঢাকায় সিটিং সার্ভিসের ব্যাপক চাহিদা আছে। তবে সিটিং সার্ভিসের বিষয়ে নির্ধারিত নীতিমালা প্রণয়নের কথাও জানালেন তিনি।বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আইনে মহানগরের পরিবহন সেবা কেমন হবে তার একটি ধারা তৈরি হওয়া উচিত। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকেও দ্রুত নীতিমালা করার পরামর্শ দিলেন তারা।