ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) শুরু হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। এবারের আগে হয়েছে চার আসর। দ্বীপরাষ্ট্রের এ লীগে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিক ছিল না। তবে লীগের পঞ্চম আসরে এসে গৌরবের হ্যাটট্রিক করলেন আফগানিস্তানের তরুণ লেগ স্পিনার রশিদ খান। এতে প্রথম এলিমিনেটরে তার দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিওর্স ৫ উইকেটে হারালো জ্যামাইকা তালাওয়াসকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল হিসেবে আগের দিন প্লে অফে মুখোমুখি হয় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সেখানে ৩৮ রানে জিতে ফাইনালের টিকিট কাটে সেন্ট কিটস। হেরে যাওয়া দল ত্রিনবাগোরও ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে শুক্রবার দ্বিতীয় এলিমিনেটরে খেলতে হবে গায়ানা অ্যামাজনের বিপক্ষে। যারা প্রথম এলিমিনেটরে জ্যামাইকাকে হারিয়েছে। জ্যামাইকা ও গায়ানা অ্যামাজনের মধ্যকার লড়াইটা গত কয়েক বছর ধরে জমজমাট। আগের চার আসরে দুইবার তারা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। দুইবারই গায়ানাকে হারিয়ে শিরোপা জেতে জ্যামাইকা তালাওয়াস। লীগের প্রথম আসরে ৭ উইকেটে ও সর্বশেষ গত বছর ৯ উইকেটে জেতে জ্যামাইকা। কিন্তু এবার সেই জ্যামাইকাকে প্রথম এনিমিনেটরে হারিয়ে বিদায় করে দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো গায়ানা।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে জ্যামাইকা সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৬৮ রান। জবাবে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় জ্যামাইকা। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় গায়ানা। সোহেল তানভির ফেরেন মাত্র ৭ রানে। তবে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রান যোগ করেন লুক রনকি ও ওয়ালটন। ওয়ালটন ৩৯ রানে ফেরার পর রনকি ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৩ বলে করেন ৭০ রান। আর শেষের দিকে ২৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে গায়ানার জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন আসাদ ফুদাদিন। জ্যামাইকার হয়ে ২৫ রানে তিন উইকেটনেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে সিপিএলের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন রশিদ খান। ১৪ ওভার শেষে জ্যামাইকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১১৬ রান। কিন্তু ১৫তম ওভারের প্রথম তিন বলেই তাদের তিন উইকেট তুলে নেন গায়ানার লেগ স্পিনার রশিদ খান। আন্দ্রে ম্যাকার্থি, জোনাথন ফু ও রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান তিনি। এর আগে জ্যামাইকার হয়ে কুমার সাঙ্গাকারা সর্বোচ্চ ৫৭ ও লেন্ডল সিমন্স করেন ৩৪ রান।