পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরের শুরুতেই স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান, শাহজেব হাসান, নাসির জামশেদ ও শারজিল।
নতুন খবর হচ্ছে, ফিক্সিংয়ের সাথে শারজিল খানের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলছে, পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পট ফিক্সিং করতে রাজি হয়েছিলেন শারজিল খান। এজন্য বুকিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। এর আগে নয় ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে কনরাড হোটেলের কাছে একটি ক্যাফেতে বুকিদের সাথে দেখা করেছিলেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার খালিদ লতিফ।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, শারজিল-খালিদের সাথে দেখা করা ওই বাজিকরের নাম ছিলো ইউসুফ আনোয়ার। সেখান তাদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ওভারের পর বল মোকাবেলার আগে কিছুটা কুঁজো হতে বলা হয় শারজিল খানকে। কিন্তু এই ম্যাচে চার বলের মোকাবেলায় মাত্র এক রান করেই আউট হয়েছিলেন তিনি।
এর আগে পিএসএলের প্রথম ম্যাচেই স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন শারজিল খান ও খালিদ লতিফ। দ্বিতীয় আসরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলছিলেন তারা দু’জনই। এরপর একই অভিযোগে অভিযুক্ত হন আরও তিন পাকিস্তানি। এই ঘটনায় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শাস্তি আওতায় আনা হয় মোহাম্মদ ইরফানকে। এক বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় এই বাঁ-হাতি পেসারকে।