রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭ এর জন্য মনোনীত ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী ৬ অক্টোবর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করবে।
ওই দিনই নোবেল কমিটি এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ টি নাম আসে, এটি নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম। গেলো বছর ৩৭৬ জনের নাম এসেছিল।নোবেল কমিটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে মনোনয়ন প্রস্তাব গ্রহণ করে।১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখের মধ্যে তারা তাদের প্রস্তাব জমা দেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭ এর জন্য মনোনীতদের মধ্যে ২১৫ জন ব্যক্তি এবং ১০৩ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।মার্চে এই তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করা হয়, যাচাই-বাছাই শেষে তা প্রেরণ করা হয় উপদেষ্টা মূল্যায়নের জন্য। জুলাই মাসে উপদেষ্টা মূল্যায়ন চূড়ান্ত হয়।উপদেষ্টা মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা উপস্থাপিত হয় কমিটির কাছে। কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করেন।নোবেল কমিটি কখনো নামের তালিকা বা সংক্ষিপ্ত তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না। তবে যারা মনোনয়ন দেন এবং বিভিন্ন সূত্রে সংক্ষিপ্ত তালিকা বেরিয়ে আসে।এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম আছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি শান্তির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নামও রয়েছে।এছাড়াও সিরিয়ার শরণার্থীদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ হোয়াইট হেলমেটও আছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়।আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন এর নেতা সুসান এন হারম্যানের নামও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে।মার্কিন পিস গ্রুপ কোড পিঙ্ক এবং ‘গ্লোবাল এক্সচেঞ্জ’ মানবাধিকার গ্রুপ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মেডা বেঞ্জামিনও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ফেসবুক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর (২৫ আগস্টের পর) নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু। ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।