1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
নিরাপত্তা পরিষদে এবার চীন, রাশিয়া কী করবে - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান

নিরাপত্তা পরিষদে এবার চীন, রাশিয়া কী করবে

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ১৭৮ Time View

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি এখন গোটা দুনিয়ার। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উন্মুখ আজকের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানতে। বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাবশালী স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার ভূমিকা কি হবে? সেদিকে দৃষ্টি সবার। অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা ও রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল চেষ্টা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদে শক্ত অবস্থান দেখতে চায় ঢাকা। একই সঙ্গে মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৯ লাখ রোহিঙ্গার পূর্ণ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে নিজের বসতভিটায় ফেরানোর নিশ্চয়তা চায় ঢাকা। ৩ স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ৪ অস্থায়ী প্রতিনিধির আহ্বানে আজ কেবল রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঐতিহাসিক এ বৈঠক হচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের। কূটনৈতিক সূত্র মতে, গত মঙ্গলবারও নিরাপত্তা পরিষদে রাখাইনের সহিংসতা নিয়ে রুদ্ধদ্বার  বৈঠক হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন এবং বানের পানির মতো দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিষদের সদস্যরা সহিংসতার নিন্দা জানালেও এটি বন্ধে তারা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো ধারণা পেয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ রাখাইন সহিংসতার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এটি এখনই বন্ধ করা, আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রদান এবং কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। রাখাইনে শান্তি ফেরাতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সমন্বিত ও শক্তিশালী উদ্যোগ চেয়েছে ফ্রান্স। আর মিয়ানমারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় বৃটেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো চাইছে নিরাপত্তা পরিষদ যেন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ভয়েস অব আমেরিকা বলছে, সেই নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আসতে পারে আজকের বৈঠক থেকে। তবে তাতে রাশিয়া ও চীনের ভেটো দেয়ার সমূহ সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিতে নারাজ পর্যবেক্ষকরা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আজ এ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বর্ধিত পরিসরে উন্মুক্ত বিতর্ক হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেজ। তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিস্তারিত তুলে ধরবেন। ওই বিতর্কের পর বোঝা যাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ? এ নিয়ে জাতিসংঘে বৃটিশ উপ- রাষ্ট্রদূত জোনাথন অ্যালেন বলেছেন, সহিংসতা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য মিয়ানমারকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে। রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা অনুমোদন করতে হবে। রোহিঙ্গাদের মর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে। ওদিকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করতে নিরাপত্তা পরিষদকে কঠোর ও ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ মাসের শুরুর দিকে এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। তাতে সমর্থন দিয়েছিল চীন।  দেশটি মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তাদের মিত্র বলে পরিচিত। নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান ও তাতে চীনের সমর্থনের পরও রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো। তারা জরুরি ভিত্তিতে এ জন্য পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘে নিয়োজিত পরিচালক লোউ চারবোনেউ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মিয়ানমার  সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। তিনি আশা করেন এ নিয়ে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে নিরাপত্তা পরিষদ। এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের অবস্থা এবং অবস্থানের বিষয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন অবহিত করবেন। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধিও তার মতামত দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠক সামনে রেখে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঢাকাস্থ প্রতিনিধিদের পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে বিস্তারিত অবহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের ওই কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে সহিংসতা বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ঘাড়ে আবর্তিত রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সমপ্রদায়কে পাশে চেয়েছেন মন্ত্রী। অবশ্য এরইমধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সামলে ওঠার চেষ্টায় ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকে। গতকাল ঢাকা সফর করে তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাদের নিজ নিজ দেশের তরফে রোহিঙ্গা-বোঝা লাঘবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আজ বৃটেনের পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন বিভাগের দুজন প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এমপি ও এলিস্টার বার্ট এমপি এক ঝটিকা সফরে ঢাকা আসছেন। সফরকালে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি, কূটনৈতিক সমপ্রদায় ও বিশ্ব সংস্থার ঢাকাস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে বৃটেন বরাবরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার। যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সও রক্তাক্ত এ সংঘাতের স্থায়ী সমাধান চায়। নিরাপত্তা পরিষদের অপর দুই সদস্য চীন ও রাশিয়াকে অনবোর্ডে আনতে না পারায় রাখাইন সহিংসতা নিয়ে এর আগের ৫টি বৈঠকে কোনো বিবৃতি আসেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ ৬ষ্ঠ বৈঠকে চীন ও রাশিয়া ভেটো না দেয়ায় পরিষদের চেয়ার রাখাইন সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন। যদিও সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ কোনো পদক্ষেপ এখনো আসেনি। বাংলাদেশ আশা করছে আজকের বৈঠক থেকে এমন কিছু হবে যাতে মিয়ানমার সরকার সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়। ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদের পাশাপাশি জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক ফোরাম থার্ড কমিটিতে  রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে। ওআইসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর পক্ষে সৌদি আরব  রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি সেখানে আলোচনায় তুলবে। থার্ড কমিটিতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জোরালো পদক্ষেপেরও আশা করছে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রে ঢাকায় থাকা ৯ দূতকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রী। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ছাড়াও বৃটেন, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, মিশর, ইতালি, জাপান, সুইডেনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হলেও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সেখানে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরবেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের  বৈঠক থেকে বাংলাদেশ কী প্রত্যাশা করছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এমন একটি ব্যবস্থা করা হোক, যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে।” নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি অত্যন্ত সহানূভূতিশীল এবং তারা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেবল বৈশ্বিক উদ্যোগ নয়, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য বাংলাদেশ দরজা খোলা রেখেছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি তার দপ্তরের মন্ত্রী চাও থিন সোয়েরকে বাংলাদেশে পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী ১লা অক্টোবর তার বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় ওই সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এখনো সফরের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তাহলে তার সফর একটু পিছিয়ে যেতে পারে। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হলে পরবর্তীতে হবে।
সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাপান: রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতি সব ধরনের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির দুইদিন বাদেই এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশকেও ‘পূর্ণ সমর্থন’  দেয়ার কথা জানিয়েছে জাপান। ঢাকা সফরকারী জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়া হরি বলেছেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সৃষ্ট ‘কঠিন সমস্যা’ সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি টোকিওর ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে।’ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে প্রাত:রাশ বৈঠকের পর জাপানের মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি (রোহিঙ্গা) জাপানের জন্যও উৎকণ্ঠার। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন বলেও জানান। বৈঠকের বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের বিষয়টি আমরা  সেখানে তুলে ধরেছি।’ পরে জাপানের ভাইস মিনিস্টার বলেন, ‘এই সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবো।’ রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের প্রতি সব ধরনের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা গত সোমবার জানায় জাপান। সমপ্রতি রাখাইন সফরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আইওয়া হরি এই সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে জাপান শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, টোকিওর গত ২৯শে আগস্টের বিবৃতির বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো তারাও (জাপান) কফি আনান কমিশনের দেয়া প্রতিবেদনের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জাপানকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, জাপানের জন্যই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত সোমবার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার  রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের এই তথ্য প্রকাশের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল এক টুইটে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন মিয়ানমারের ৯ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দিচ্ছে। তিনি হিসাব দিয়ে বলেন, এবারের ৪ লাখ ৮০ হাজার, গত বছরের ৮৭ হাজার, নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ৩৩ হাজার এবং অনিবন্ধিত ৩ লাখ। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি এখন ৯ লাখ।
ফের ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত: রাখাইনে বর্মী বাহিনীর বর্বরতা থেকে প্রাণে বাঁচতে নিজেদের জন্মমাটি ছেড়ে আসতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ফের ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় ত্রাণবাহী জাহাজটি চট্টগ্রামের পথে রয়েছে। আজ তা চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করবে এবং একই দিনে হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।
তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী যা বললেন: বাংলাদেশ সফরে এসে তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নোমান কুত্তোলমাস বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তুরস্ক। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে তুরস্ক সব সময় থাকবে বলেও জানান তিনি। বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন উপ-প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী  মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তাকে সঙ্গ দেন।
সহায়তায় প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক: শরণার্থীদের জন্য সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। তিনি বলেন, অন্য দাতা সংস্থার মতো বিশ্বব্যাংকও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন প্রকাশকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশে এখন যে শরণার্থী সমস্যা চলছে, তাতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আইডিএ-১৮তে ‘রিফিউজি ফান্ড’ নামে নতুন একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এর পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ রয়েছে। তবে একটি দেশ বিশ্বব্যাংকের অঙ্গর্ভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) খাত থেকে এখাতে ৪০ কোটি ডলার পেতে পারে। বাংলাদেশও এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য। কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো প্রকল্প নিলে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বা ৩২০০ কোটি টাকা পেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই দেশে শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি হতে হবে। বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে পারে। এ সহায়তা ঋণ নাকি অনুদান হিসাবে দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করে শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাবনার ওপর। প্রস্তাবনা দেখে মোট সহায়তার অর্ধেক অনুদান ও অর্ধেক ঋণ হতে পারে, আবার পুরোটাও অনুদান হতে পারে।
এছাড়া অক্টোবর মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের আসন্ন বার্ষিক সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলোচনায় থাকবে বলেও জানান ফান।
ডব্লিউএফপি’র পরিকল্পনা: মিয়ানমার থেকে আগত সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। গত ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হলে সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত চারলাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এখনো দলে দলে রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে আগমন অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় মোট সাতলাখ রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আসন্ন সপ্তাহগুলোতেও যদি উদ্বাস্তুদের আগমন অব্যাহত থাকে তা বিবেচনা করে ব্যাপক খাদ্য ও অন্য জরুরি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে ডব্লিউএফপি। এই ব্যাপক সহায়তার জন্য ডব্লিউএফপির আট কোটি ডলার প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com