1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
যে কারণে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী হৃদয় খানের সঙ্গে জুটি ন্যান্সিকন্যা রোদেলার শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না: বুবলী শাকিবের এমন সময় আমাদেরও ছিল: ওমর সানী কত টাকা সালামি পেলেন জায়েদ খান, দিতে হলো কত লাখ? শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে,দেনমোহর, বিচ্ছেদসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি, বৃহস্পতিবার ঈদ বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় ‘যাত্রীদের মা’র’ধরে’ বাসচালক ও হেলপার নি’হ’ত ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব

যে কারণে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন

  • Update Time : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭
  • ২১৪ Time View

মিয়ানমারে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ চীনের। তাদের চোখ রাখাইনের দিকে। সেখানকার ভূ-ভাগ, বন্দর ও উপকূলীয় তেল-গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে তারা। মিয়ানমার সরকার এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। তবে সে উন্নয়ন কর্মসূচি কেমন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয় নি। রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ায় বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে রাখাইন। দৃশ্যত সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি রোহিঙ্গাদের জমিজমা, পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর দখল করে সেখানে সরকারের উন্নয়ন কাজ চলতে থাকে বা চলে তাহলে রোহিঙ্গারা ফিরবে কোথায়! এমনই উদ্বেগ রয়েছে সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে। এ নিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বরা হয়েছে, বিশ^জুড়ে ক্ষোভের মুখে যখন চ্যাপ্টা হয়ে পড়েছে মিয়ানমার তখন সে তার পুরনো বন্ধুর কাছে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে। সেই বন্ধু হলো চীন। এ দেশটিকে এশিয়ার সুপারপাওয়ার বলা হয়। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের বন্ধ কোটি কোটি ডলার বাণিজ্যের। সহিংসতা কবলিত রাখাইন রাজ্যে লোভনীয় বন্দর, গ্যাস ও তেলের দিকে তাদের নজর। ২৫ শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে কমপক্ষে ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ওদিকে ধারণা করা হচ্ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সামনে এগিয়ে আসবে চীন। তারা বিশ^ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নৃশংসতার নিন্দা জানাবে। কিন্তু তারা তা করে নি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছিলেন, জাতীয় উন্নয়নের স্থিতিশীলতা রক্ষায় মিয়ানমারের যে প্রচেষ্টা আমরা আশা করি তাতে সমর্থন থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়ে এমন সমর্থন দিয়েছে সেই মিত্র, মিয়ানমার থেকে যারা নগদ অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে, যদিও সামরিক জান্তা ও সামরিক শাসনের অধীনে প্রায় অর্ধ শতাব্দী থেকে দেশটির অর্থনীতির বারোটা বেজে গেছে। এসব অবরোধের বেশির ভাগই তুলে নেয়া হয়েছে ২০১৪ সালে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পুরস্কার হিসেবে তুলে নেয়া হয়েছে অবরোধ। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাধীনতা বেইজিংয়ের কাছে খুব কমই অর্থবহ। চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার মতে, সামরিক জান্তার অধীনে মিয়ানমারে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে চীন। বেশির ভাগ বিনিয়োগ হয়েছে খনি শিল্পে ও জ¦ালানি খাতে। তারা সেখানকার নিষ্পেষণকারী সেনা বাহিনীকে অস্ত্রও সরবরাহ দিয়েছে। ফ্রেঞ্চ ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সোফি বোইসেউ ডু রোচার বলেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বড় ধরনের অল্প কিছু অর্থনৈতিক প্রকল্প চলমান আছে। এর মধ্যে রয়েছে কিয়াউকপু এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর ও অর্থনৈতিক জোন পরিকল্পনায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ। উল্লেখ্য, কিয়াউকপু এলাকাটি সহিংসতাকবলিত রাখাইন রাজ্যের অল্প দক্ষিণে। সেখানে ওই প্রকল্পটিতে বিশাল অংকের এই বিনিয়োগ করছে চেিনর বিনিয়োগকারী গ্রুপ সিআইটিআইসি। ২০৩৮ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই মধ্যে একগুঁয়ে এই মিয়ানমারের রাখাইনে অর্থ ঢালা শুরু করেছে চীন। এ বছরের এপ্রিলে রাখাইন থেকে চীনের ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত ২৪৫ কোটি ডলারের পাইপলাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পাইপ লাইনটি হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা অশোধিত তেল বেইজিংয়ে নেয়ার একটি নিরাপদ ও মূল রুট। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত প্রকল্প নিয়ে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ কর্মসূচিতে অগ্রসর হচ্ছেন। ওই একই মাসে প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতিন কাইওয়াকে বেইজিংয়ে লাল লাগিচা সংবর্ধনা দেন।
এক্ষেত্রে রাখাইন হলো এক বিস্তৃত কৃষি জমির এলাকা। পাশেই রয়েছে উপকূল, উপকূলীয় গ্যাস রিজার্ভার। এখানেই দশকের পর দশক ধরে সাম্প্রদায়িত উত্তেজনা বিদ্যামান। জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সব সময়ই। তারা রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাঙালি অভিবাসী হিসেবে অভিহিত করে। গত বছর অক্টোবরে সেখানে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়, যখন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) সীমান্তে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলা চালায়। তারা এ বছরও আবার ২৫ শে আগস্ট হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান শুরু করে। ফলে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা গত এক মাসে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইনের বৌদ্ধরা গ্রামের পর গ্রাম জ¦ালিয়ে দিয়েছে। সেসব গ্রামের বিস্তৃত জমি, ভূমি এখন পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর সাক্ষীয়া সাসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়ার ফলে যে জমি উন্মুক্ত পড়ে আছে সেটাই এখন সেনাবাহিনীর আগ্রহে পরিণত হয়েছে এবং দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের নেতৃত্বের ভূমিকার আগ্রহে পরিণত হয়েছে। চীনের প্রকল্পের কারণে এখানকার জমি ভালনার‌্যাবল বা বিপদসঙ্কুল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মিয়ানমার সরকার বলেছেন, রাখাইনে যেসব জমি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে পুনরায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। তবে কি ধরনের উন্নয়ন কাজ করা হবে, কি করা হবে, কারা করবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয় নি। গত এক মাসেরও বেশি সময়ে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আ¤্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তাদের পরিণতি কি হবে তাও পরিস্কার নয়। এখন প্রশ্ন ঘনিয়ে আসছে। তাহলো কিভাবে এবং কখন তারা ফিরতে পারবেন।
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রাখাইন হলো মিয়ানমারের দরিদ্র রাজ্যগুলোর অন্যতম। এখানকার শতকরা প্রায় ৭৮ ভাগ মানুষ বসবাস করেন দারিদ্রসীমার নিচে। জাতীয় পর্যায়ে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন তার দ্বিগুন এই রাজ্যে। এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতিগত রাখাইনরা সুবিধা পাচ্ছে। ওদিকে মিয়ানমারজুড়ে চীনের প্রভাবে অস্বস্তিতে আছে মিয়ানমারের অনেক মানুষ। ফ্রেঞ্চ স্কুল অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রাখাইন বিশেষজ্ঞ ও গবেষক আলেকজান্দ্রা ডি মেরসান বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে চীনের বিরাট অংকের প্রকল্পের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে গভীর হতাশা। তারা চীনের এই প্রভাবকে ইতিবাচক চোখে দেখছে না।
আগস্টে সরকার কমর্থিন রাখাইন কমিশন রাখাইনের অস্থিরতা নিয়ে একটি রিপোর্ট দেয়। এই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। ওই রিপোর্টে রাখাইনে বিনিয়োগের বিষয়টিও উঠে আসে। তাতে বলা হয়, রাখাইনে বিনিয়োগ করে বাস্তবে কে বা কারা উপকৃত হচ্ছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, রাখাইনে বিনিয়োগ থেকে যে লাভ আসছে তাতে সুবিধা ভোগ করছে ন্যাপিড ও বিদেশী কোম্পানিগুলো। তাই স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা এ ধারাকে ভাল চোখে দেখে নি। তা সত্ত্বেও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের উন্নয়নই তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার, যদিও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো রাখাইনে এমন বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্ক করেছে। ১৯ শে সেপ্টেম্বর রাখাইন সঙ্কট নিয়ে প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সুচি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, রাখাইনে আমরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com