উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাকর অবস্থা নিরসনে উদ্যোগী হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে জিমি কার্টারের পক্ষ থেকে এ রিপোর্টের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোরিয় উপদ্বীপ অঞ্চলে যুদ্ধংদেহী মনোভাব বিরাজ করছে দীর্ঘ সময় ধরে। তবে সম্প্রতি তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাকযুদ্ধ চলছে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন- যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে যাতে আরেকটি যুদ্ধ না হয় সে জন্য জিমি কার্টার মধ্যস্থতা করতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। যদি সত্যি এমন আলোচনা হয় তাহলে তাতে কোরীয় দ্বীপ অঞ্চলে বাড়তে থাকা পরমাণু এবং ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র্ত্র থাকবে আলোচনার মূলে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সাংবাদিক আলেকজান্দ্রা উইলটজ লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ ঠেকাতে ৯৩ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্টার প্রয়োজনে পিয়ংইয়ং গিয়ে আলোচনায় বসতেও রাজি। ধারণা করা হচ্ছে কার্টারের এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনঃক্ষণ্ন হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার অধ্যাপক পার্ক হান শিক দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক জংআং পত্রিকাকে বলেন, কার্টার চাইছেন উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসে কোরীয় দ্বীপ অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে। যেমনটি তিনি করেছিলেন ১৯৯৪ সালেও। তিনি আরো বলেন, যদি জিমি কার্টার উত্তর কোরিয়া যেতে সক্ষম হন, তবে তিনি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি সমাধানের পথ খুঁজবেন, যাতে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে রাজি করানো যায়। জিমি কার্টারের সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করা মিঃ পার্ক জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন ইমেরিটাস প্রফেসর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিমি কার্টারের এমন অবস্থানের কারণে নাখোশ হয়েছে হোয়াইট হাউস। তারা গত মাসেই কার্টারকে কোরিয়া সংক্রান্ত সংকটে কোনো মন্তব্য না করতে অনুরোধ করেছিল এই আশঙ্কায় যে, এমনটা হলে ট্রাম্পের উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর বর্তমান সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জর্জিয়ায় কার্টারের বাসভবনে গিয়ে ট্রাম্পের এই অনুরোধ পৌঁছে দেন।