রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ বাংলাদেশের বাজারে সাধারণত এখন ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার কয়েন দেখা যায়। ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সা এখন আর তেমন দেখা যায় না। বর্তমানে এসব ধাতব মুদ্রার লেনদেন নিয়ে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতা, বিক্রেতা, চালক এমনকি ব্যাংক পর্যন্ত নিতে চায় না এসব কয়েন। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন।
কয়েন না নেওয়ার কারণে হাজার হাজার টাকার কয়েন বস্তাবন্দী করে রেখে দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বেশিরভাগ দোকানেই দেখা যায়, দোকানিরা কয়েনের বদলে ক্রেতাদের লজেন্স ধরিয়ে দিচ্ছেন। আর ক্রেতারাও তাতে খুশি। কোনো রকম দাবি করছে না তারা।
জানা গেছে, ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েনের কার্যকারিতা এখন আগের থেকে অনেক কমে গেছে। আর সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের ভল্টে জমা হয়েছে লাখ লাখ কয়েনের স্তূপ। এসব ধাতব মুদ্রা তত্ত্বাবধানে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, বাজারে ইস্যুকৃত কয়েনের অধিকাংশ ব্যাংকে এবং ব্যবসায়ীদের কাছে জমা হয়ে আছে। এছাড়া আগে থেকেই ১০ ও ২৫ পয়সা মূল্যমানের অসংখ্য ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে পরে আছে।
এ সকল মুদ্রাই দেশের বাজারে এখনো বৈধ। কিন্তু বিপাকে রয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকগুলো কোনো ধাতব মুদ্রা জমা নিতে চায় না। কিন্তু এ ধরনের কাজকে বাংলাদেশ ব্যাংক অপরাধ বলে জানিয়েছে।
বর্তমানে বাজারে ইস্যুকৃত ১ টাকার কয়েন রয়েছে ১৮৭ কোটিটি। ২ টাকার কয়েন রয়েছে ৭৮ কোটিটি এবং ৫ টাকার কয়েন রয়েছে ৪১ কোটির উপরে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এই ধাতব মুদ্রাগুলো বাজারে কার্যকারিতা এক প্রকার হারিয়ে ফেলেছে।