কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা দু’জনকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। তারা হলেন, দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের নেতা জর্দি সানচেজ ও জর্দি কুইকজার্ট। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, তারা ১লা অক্টোবরে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে অনুষ্ঠিত গণভাটের নেতৃত্বে ছিলেন। স্পেন সরকার ওই গণভোটকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে।গতকাল দুই স্বাধীনতাকামী নেতাকে আটক করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কাতালোনিয়ার মানুষ। সানচেজ স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলনরত কাতালান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (এএনসি) প্রধান। আর কুইকজার্ট ‘অমনিমাম কালচারাল’ দলের নেতা। সোমবার তাদের মাদ্রিদের উচ্চ আদালতে হাজির করা হয়। কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় ২০শে সেপ্টেম্বর একটি ভবনে নিরাপত্তাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে স্বাধীনতাকামী মানুষ। এই ঘটনার সঙ্গে সানচেজ ও কুইকজার্টের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ১লা অক্টোবরের গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয় কাতালোনিয়ার প্রায় সব মানুষ। পরে কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইগমেন্ট স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু স্পেনের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোলা রাখতে ঘোষণার বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছেন। তিনি সমঝোতার জন্য আগামী দুইমাস আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে স্পেনের সরকার সতর্ক করেছে যে, কাতালোনিয়াকে অবশ্যই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কাতালোনিয়ার স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেবে সেপন। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কাতালোনিয়াকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এদিকে, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা দুই নেতাকে জেলে পাঠানোর নিন্দা জানিয়েছেন কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট পুইগমেন্ট। তিনি টুইটারে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার দায়ে স্পেন কাতালোনিয়ার নাগরিক সমাজের নেতাদের জেলে পাঠিয়েছে। আদালতে হাজির হওয়ার আগে ধারণকৃত এক ভিডিওবার্তায় কুইকজার্ট তার অনুসারীদের হতাশ হতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, কাতালোনিয়ার মানুষরা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে নিয়েছে। জেলে পাঠানোর পরে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। দুই নেতার মুক্তির দাবিতে সমর্থকরা আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে।