দেশের পর্যটনশিল্প নিয়ে দেশের প্রথম ছবি ‘হৃদয়ের রংধনু’। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, বঙ্গোপসাগরসহ দেশের পর্যটন উপযোগী জায়গাগুলোকে এই ছবিতে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন এর পরিচালক রাজীবুল হোসেন। তবে ছবিটি সেন্সরে জমা দেয়ার পরও এখনো আলোর মুখ দেখেনি বলে জানালেন তিনি। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ধানমন্ডিতে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ছবিটির গানসহ অংশবিশেষ দেখান এবং ছবিটি বিনা কারণে সেন্সর জটিলতায় ভুগছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পরিচালক রাজীবুল হোসেন ছবিটি প্রসঙ্গে বলেন, গত বছরের ২৭শে নভেম্বর এটি প্রথম সেন্সরবোর্ডে জমা দেয়া হয়। এর দীর্ঘ সময় পর চলতি বছরের ২৯শে জুন সেন্সরবোর্ড ছবিটি ছাড়পত্র না দিয়ে আমাকে একটি চিঠি দেয়।সেখানে ছবিটি নিয়ে ৮টি অভিযোগের কথা বলা হয়। সেন্সরের সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি সম্পাদনা করে আবার চলতি বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর ছবিটি সেন্সরে জমা দেই। তারপর গত ১০ই অক্টোবর ছবিটি পুনরায় সেন্সরবোর্ডের সদস্যরা দেখেন। তবে সেসময় আমি সেন্সরের অফিসে উপস্থিত ছিলাম। মাত্র তিনজন সেন্সর সদস্য ছবিটি দেখেন এবং ছবিটি ছাড়পত্র না দিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, এর আগে সেন্সরবোর্ড বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র চেয়েছিল। সেটাও আমি এনে সেন্সরে জমা দিয়েছি। যেখানে পর্যটন মন্ত্রণালয় মাত্র চারটি কারেকশন দিয়েছিল অথচ সেন্সরবোর্ড আমাকে মোট ৮টি কারেকশন দেয়। যেখানে অনেক অংশ ছবির মধ্যেই নেই। আমার কথা হচ্ছে, যে দৃশ্য ছবির মধ্যে নেই সেটা কীভাবে কারেকশন করব! এদিকে সরকার ছবিটির সেন্সর ফি মওকুফ করেছেন। আর সেই ছবি সেন্সরে আটকে আছে, এটা সত্যিই ছবির প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে আমার বোধগম্য নয়। আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ছবিটি ছাড়পত্র না পেলে আমি বিকল্পভাবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠাবো। তবে সেক্ষেত্রে নির্মাতা হিসেবে আমার আফসোস থাকবে যে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপশি ছবিটি দেখা থেকে দেশের দর্শকরা বঞ্চিত হবে। এদিকে সেন্সরবোর্ডের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, গত ১০ই অক্টোবর ছবিটি পুনরায় দেখি আমরা। তবে তখন ছবিটি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেন্সরবোর্ডের সচিব মহোদয় এ ছবির জন্য তিনজনের একটি কমিটি করে দিয়েছেন। তারা ছবিটি দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন শামস কাদির, মুহতাসিন সজন ও খিং সাই মং মারমা। ঢাকা, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও বান্দরবানসহ বাংলাদেশের মোট ৫৪টি জেলায় এ চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন হয়েছে। এতে মোট ছয়টি গান রয়েছে। সংগীত পরিচালনা করছেন শাকিব চৌধুরী, ফারহান ও নীলকণ্ঠ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বাংলাদেশ।