অক্সফোর্ড আন্ডারগ্রাজুয়েট কলেজের জুনিয়র ‘কমন-রুম’ থেকে মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী অং সান সুচির নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৃষ্ট মানবিক সংকটের বিষয়ে সুচির প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে সুচির নাম সরিয়ে নেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে সুচির নীরবতার নিন্দা জানান তারা। তারা বলেন, রাখাইনের গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সুচির অক্ষমতা অগ্রহণযোগ্য। তিনি একসময় যে নীতির পক্ষে কথা বলেছিলেন এখন নিজেই সে নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ২০১২ সালে অং সান সুচিকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল অক্সফোর্ড।এ ছাড়া তার ৬৭তম জন্মদিন এই কলেজে উদযাপন করা হয়। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই কলেজে তিনি রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি পড়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৃষ্ট মানবিক সংকটের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরে সেইন্ট হিউজ কলেজের পরিচালনা পরিষদ কলেজের প্রধান ফটক থেকে সুচির ছবি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের নেতাকে দেয়া ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড’ ডিগ্রি প্রত্যাহার করার পক্ষে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে ভোট দেয়। তবে সুচিকে দেয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অক্সফোর্ড। তারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, তারা আশা করেন যে, অক্সফোর্ডের সাবেক শিক্ষার্থী অং সান সুচির নেতৃত্বে মিয়ানমার সরকার সব ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করতে সক্ষম হবে এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে যে, মিয়ানমার সব নাগরিকের জীবনকে মূল্য দেয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে সেনা অভিযানের কারণে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।