রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে অর্ধকোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়া। এই মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে ছবিটির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও। গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ হাকিম শম্পা জাহানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বিচারক হবিগঞ্জ গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলা দায়েরের ঘটনায় হবিগঞ্জের সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে নায়ক শাকিব খান নায়িকা অপু বিশ্বাসকে বিশেষ মুহূর্তের একটি ডায়লগে একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করেন।যে নাম্বারটি বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়ার। নম্বরটি ছবিতে প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকে শাকিব ভক্ত নারী-পুরুষ দিনরাত ইজাজুলকে ফোন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। এক পর্যায়ে খুলনা থেকে এক নারী ভক্ত ইজাজুলের বাসায় চলে আসে। এছাড়াও নারী ভক্তরা অবিরাম ফোন করে তাকে হয়রানি করে। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ইজাজুলের মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে পরিবার থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন থেকে সে কোনো কাজকর্ম করতে পারে না। মানসিককভাবে সে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে মানহানি ও হয়রানির অভিযোগে সে মামলা করতে বাধ্য হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ জানান, বিনা অনুমতিতে আমার মক্কেলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর ‘রাজনীতি’ নামক ছবিতে ব্যবহার করে আসামিরা প্রতারণা করেছেন। এতে ইজাজুলের সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আমরা মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানিয়েছি। মামলার বাদী ইজাজুল জানান, দিন-রাত আমার নম্বরে কল আসে। মাঝে মধ্যে আমার বউ রিসিভ করে শুনে মেয়েরা ফোন করেছে। এ কারণে আমি এখন পরিবার ছাড়া। আমি এ হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। এদিকে নায়ক শাকিব খান নির্মাণাধীন ‘চালবাজ’ ছবির শুটিংয়ে বর্তমানে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করায় বিষয়টি নিয়ে তার কোনো মন্তব্য দেয়া যায়নি। তবে ‘রাজনীতি’ ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের মারফতে এ বিষয়টি জেনেছি আমি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আইনি কাগজ থানা থেকে আমার হাতে আসেনি। এ ধরনের কাগজ হাতে পাবার পর আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।