মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফেরাতে হবে। সেক্ষেত্রে ত্রাণনির্ভর কুটনৈতিক তৎপরতা থেকে বের হয়ে সরকারকে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন এখানে রাখলে তারা সন্ত্রাস, মাদকে জড়িয়ে যাবে। এমনকি জীববৈচিত্র্য ধ্বংস এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ে পড়বে বাংলাদেশ। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রাসপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর এক গবষেণা সমীক্ষা এমনটাই বলেছে। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে টিআইবি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের গবেষণা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।টিআবির গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, গত দুই মাসে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার এবং তার আগে চার দশক ধরে এখানে রোহিঙ্গা এসেছে ৪ লাখের উপরে। মিয়ানমার থেকে তাদের এদেশে আসতে পদে পদে বাধাগ্রস্থ হতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে রাজনৈতিক নেতা থেকে বিভিন্নভাবে তারা প্রতারিত হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে প্রকৃত নৌকা ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হলেও তাদেরকে দিতে হয়েছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ভাড়া তাদের কিয়াট কিংবা গহনা দিয়ে পরিশোদ করতে হয়েছে। সর্বকালের সব থেকে বড় মানবিক বিপর্যয় চলছে তাদের উপরে।
‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সমস্যা: সুশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক এ সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ থেকে সরাসরি মাঠ পরিদর্শনে হচ্ছে। জরুরী অবস্থা বিবেচনায় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে সন্তোসজনক সমন্বয়। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের মধ্যে আনা হয়েছে।