সরকারকে উৎখাত চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তুরস্কের শীর্ষ স্থানীয় অধিকারকর্মী ও ব্যবসায়ী ওসমান কাভালা’কে। তাকে এ অভিযোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে জেলে। তবে বিচার প্রক্রিয়া রয়েছে মুলতবি। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাডোলু’কে উদ্ধৃত করে বুধবার এ কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় এবং সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় তিনি জড়িত ছিলেন এমন অভিযোগে ইস্তাম্বুলের আদালত কাভালাকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়েছে।অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর জুলাই মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। সাংবাধানিক শৃংখলার বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের এমন চেষ্টা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী কাভালা’র সংগঠনের নাম আনাডোলু কুলতুর। এটি সংস্কৃতি ও অধিকার নিয়ে কাজ করে। তাকে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় দু’সপ্তাহ আগে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ১৫ই জুলাই ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয় তুরস্কে। ওই ঘটনায় এরদোগান প্রশাসন কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষকে জেলে নিয়েছে। তারা বিচারের মুখোমুখি। অন্যদিকে দেড় লাখের মতো সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয় না হয় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, কাভালা’কে আটকের ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, তুরস্কের সুশীল সমাজের নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এমন কি অধিকারকর্মীদের আটক করার একটি উদ্বেগজনক প্রবণতার উদাহরণ হলেন কাভালকা। জবাবে তুরস্ক সরকার বলছে, তুরস্ক যে ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়েছে তার গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদেরকে এমন পদক্ষেপ নিতেই হয়েছে। জুলাইয়ের ওই অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফেতুল্লাহ গুলেন ও দেশে তার সাঙ্গপাঙ্গদের দায়ী করে সরকার। কিন্তু গুলেন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।