পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুকে মহামারী ঘোষণার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার জনস্বার্থ মামলা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ইতিপূর্বে বিজেপির পক্ষ থেকেও আদালতে মামলা করা হয়েছে। এদিন পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৬টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে ডেঙ্গু নিয়ে সঠিক তথ্য জানার আরজি নিয়ে। আদালত অবশ্য রাজ্য সরকারের কাছে ডেঙ্গু সংক্রান্ত সব তথ্য জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর মামলাগুলির একত্রে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন কংগ্রেসের করা মামলার আবেদনে অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুকে মহামারী ঘোষনার আরজি জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে সঠিক তথ্য লিখতে কোনও হাসপাতাল অথবা প্যাথলজিক্যাল সেন্টারকে যেন বাধা না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে আদালতকে নির্দেশ দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে।সেই সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখতে হাইকোর্টের নজরদারিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করারও আবেদন জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত এবং মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে। আবেদনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার যাতে হস্তক্ষেপ করে সেজন্য নির্দেশ দেয়ার আবেদন করেছেন। এদিকে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদনের সঙ্গে দেখা করেছেন অধীর চৌধুরী। রাজ্যে ডেঙ্গু মহামারির আকার নিলেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিষয়টিকে চেপে দেওয়ার জন্য ‘অজানা জ্বর’ হিসাবে উল্লেখ করছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীরবাবু। তিনি দ্রুত রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, খুব দ্রুতই দল যাবে পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদের কলকাতা পুরসভায় মেয়রের ঘরের সামনে এবং স্বাস্থ্য ভবনের সামনে মশারি টাঙিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মিছিল অব্যাহত রয়েছে। শাসক তৃনমূল কংগ্রেস অবশ্য রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর অভিযোগে অটল রয়েছে। সোমবারও কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় পুরসভা প্রচুর কাজ করেছে। বিরোধীদের কাজ বিক্ষোভ দেখানো। বামেদের সময় কী হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তোলেন মেয়র।