ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র এক চালককে তেল চুরির অভিযোগে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। বাস চালক মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে দুই বছরে প্রায় ৫ লাখ টাকার তেল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে অব্যহতি দিয়ে অধিক তদন্তের জন্য একটি কমিটি করেছে প্রশাসন।
পরিবহন অফিস সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে চালক মুনসুরের কুষ্টিয়া স ১১-০০০৫ গাড়িটি ক্রয় করা হয়। ওই সময় অডিট করে প্রতি লিটারে ৩ কিলোমিটার হিসেবে তেল দেবার সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি ২০১৫ সালের ১লা অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত লগ বইয়ের সমন্বয় দেখা হয়। এতে ব্যবহৃত কিলোমিটার ও তেলের হিসেবে গড়মিল পাওয়া যায়।দুই বছরে চালক মুনসুর মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৪ কি.মি. পথ চলাচল দেখিয়েছেন। অফিসের হিসাবে তার ৯৭ হাজার ৬৬৮ কিলোমিটার পথ চলার কথা। সে অনুযায়ী তিনি ৩২ হাজার ৫৫৬ লিটার তেল পাবেন। তবে গাড়ির লগ বই অনুযায়ী চালক তেল ব্যবহার করেছেন মোট ৩৯ হাজার ৫৩০ লিটার। অফিসের হিসেব মতে তিনি অতিরিক্ত ৬ হাজার ৯৭৪ লিটার তেল নিয়েছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৯৭ টকা। সম্প্রতি পরিবহন অফিসে তার তেল জালিয়াতি নজরে আসে। প্রাথমিক যাচাইয়ের চালক মনসুরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে গাড়ি চালানো থেকে অব্যহতি দেন ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী। মঙ্গলবার তাকে অব্যহতির নোটিশসহ চিঠি দেয়া হয়। এদিকে পরিবহন শাখার সকল গাড়ির অধিক তদন্তের জন্য কমিটি করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আবদুল লতিফ বলেন, ‘গাড়ির লগ বইয়ের সাথে তেলের হিসেবের গড়মিল থাকায় প্রাথমিকভাবে পরিবহন অফিস খোঁজখবর নেয়। এতে দুই বছরের প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার তেল খরচ বেশি নিয়েছে চালক মুনসুর। যার কারণে ভিসি তাকে গাড়ি চালানো থেকে সাময়িক অব্যহতি দিয়েছেন।’