হামিম রাফি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চীন সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছতে দ্রুত সুড়ঙ্গ তৈরি কাজ শেষ করতে চায় ভারত। আর এজন্যে মোট ৯টি সুড়ঙ্গকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, এসব সুড়ঙ্গপথগুলি চীন সীমান্তের স্ট্রাটেজিক পয়েন্টগুলির সঙ্গে সব আবহাওয়ায় যোগাযোগ বজায় রাখবে। শুধু তাই নয়, দ্রুত সেনাবাহিনীর সামগ্রী ভারত-চীন সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে এই সুড়ঙ্গপথ গুলি কাজ করবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যে সমস্ত সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং ও পূর্ব সিকিমের ডোকলাম যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
গত কয়েকদিন আগে প্রতিরক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরি জানান, আপার হিমালয়ান অঞ্চলে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা খুবই চ্যালেঞ্জপূর্ণ কাজ। এর উপযুক্ত সমাধান হল সুড়ঙ্গপথ। ভামরি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ব্যয়বহুল হলেও সব আবহাওয়ার উপযোগী এবং মসৃন ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সড়ক ও রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো সুড়ঙ্গপথ।’
ভারত ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বাঁধতে পারে এমন আশঙ্কাজনক স্থানগুলোর মধ্যে পূর্ব লাদাখ সবচেয়ে এগিয়ে। দুটি সড়ক এই অঞ্চলকে ভারতের মূলভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে। কিন্তু বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে বছরের অন্তত আট মাস এই সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী থাকে। এই সমস্যা দূর করতে অবিলম্বে সেখানে উচু পর্বতের তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে, ভারতের অরুনাচল প্রদেশে ভারতের বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিওআর) একটি ১৩,৭০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের তলদেশ দিয়ে দুই লেনের সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ শুরু করেছে। এই সড়ক অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং শহরের তেজপুরে অবস্থিত ভারতীয় সেনবাহিনীর চতুর্থ কোরের সদরদফতরকে সংযুক্ত করবে। এতে সময় এক ঘণ্টা কমার পাশাপাশি সড়কটি সব আবহাওয়ায় চলাচলের উপযোগী থাকবে।
অন্যদিকে, চীন-ভারত সীমান্ত থেকে তাওয়াংয়ের দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। গতমাসে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত চিন সীমান্তের কাছে চারটি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলেন। ২০২০ সালের মধ্যে এগুলোর নির্মাণ শেষ করতে হবে বলে তিনি জানান। এগুলো হচ্ছে নিতি পাস, তাংলা পাস, লিপুলেখ পাস ও সাংখোলা পাস। কলকাতা ২৪