রায়হান করির, স্বদেশ নিউজ২৪.কম:ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক নষ্ট করতেই রংপুরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রোববার রংপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যাওয়া হিন্দুদের বাড়িঘর পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুর ও নাসিরনগরের ঘটনা একইসূত্রে গাঁথা। তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, যারা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায়, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এ হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারা যতই প্রভাবশালী হোক, কেউ রেহাই পাবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে।হরকলি ঠাকুরপাড়ায় আসতে চেয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একই ফ্লাইটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এখানে আসতে চেয়েছিলেন বলে জেনেছি। তিনি যদি আমার সঙ্গে আসতেন, তবে আমি তাকে পাশে বসিয়ে আসতাম। তিনি এলে অনেক কথা হতো, চোখাচোখি হতো, ভাববিনিময় হতো। এটা আমি পজিটিভভাবে দেখতাম। কিন্তু উনি আসলেন না। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে অন্য ফ্লাইটে এসেছেন বলে জেনেছি।এ সময় হরকলি-ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা ও বাড়ি ভাঙচুর হওয়া ৭টি পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা এবং একটি মন্দিরকে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। হরকলি ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো ঘুরে দেখার পর ঠাকুরপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দেন তিনি।ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সহিংসতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে রংপুর যান ওবায়দুল কাদের। রোববার সকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি সফর সঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।গেলো ১০ নভেম্বর ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুর সদরের ঠাকুরপাড়া এলাকায় হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটে। এতে কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ১৮টি ঘর ভস্মীভূত হয়।এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাবিবুর রহমান নামে একজন নিহত হন। পুলিশসহ আহত হন আরো ৩০ জন।