সাভার মডেল থানায় কর্মরত এস আই তাহমিনা আক্তারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নিহতের স্বামী মোবারক হোসেন পাশের একটি কক্ষে নিজের সন্তানকে খাওয়াচ্ছিলেন। শনিবার রাত ৯ টার দিকে থানার ভেতরের পুলিশ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। নিহত তাহমিনা আক্তার (৩০) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার জয়দা গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। তার স্বামী মোবারক হোসেন বেসরকারী ডেভলপার কোম্পানিত চাকুরী করেন বলে জানা গেছে। তাদের তানভীর হোসেন (৫) ও মাহেরা নামে পাঁচ মাসের দুটি সন্তান রয়েছে। নিহত তাহমিনা আক্তার ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরের ৮ তারিখে তার কর্মস্থল সাভার মডেল থানায় কাজে যোগদানের কথা ছিলো। তাহমিনার স্বামী মোবারক হোসেন জানান, তাহমিনা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলো। এরমধ্যে তাদের পাঁচ মাস বয়সী মেয়ে মাহেরাও অসুস্থ্য হয়ে পরায় তাকে শনিবার সকালেই ডাক্তার দেখানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন কিছুদিন পরেই তাহমিনার মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ শেষ হবে। তখন বাচ্চাটিকে কে দেখাশুনা করবে এ নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলো। এছাড়া সকালেই সে বাড়িতে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আমি বলেছি কালকে নিয়ে যাবো। এরপর আমি ছেলেকে পাশের কক্ষে খাওয়াচ্ছিলাম এবং তাহমিনা তার কক্ষেই শুয়ে ছিল। ছেলেকে খাওয়ানো শেষে ওর কক্ষে ঢুকতে গিয়ে দরজা বন্ধ পাই। এসময় অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তাদের সহযোগীতায় দরজা ভেঙ্গে তাহমিনাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এদিকে তাহমিনার লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইডাল নোট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে তাতে লেখা রয়েছে আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির বলেন, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তবে কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।