মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সংকল্পবদ্ধ চীন। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্মম নিপীড়ন নিয়ে মিয়ানমার যখন সারা বিশ্বে সমালোচনায় বিদ্ধ তখন দেশটিকে এমন বার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্টের এক রিপোর্টে মিয়ানমারকে দেয়া চীনের প্রতিশ্রুতিকে এভাবেই বর্ননা করা হয়। শুক্রবার চীন সফররত মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিকে এ কথা বলেন জিনপিং। বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জিনপিংকে উদ্বৃত করে জানিয়েছে, ‘চীন মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। যেমনটা অতীতে রেখেছে। চীন দু’দেশের সম্পর্ককে বিস্তৃত পরিসরে এবং কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে।’
সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত থেকে পালাতে আগস্ট মাস থেকে ৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়েছে প্রতিবেশি বাংলাদেশে। পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ এনেছে। আর এ সহিংসতা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচির তীব্র সমালোচনা করেছে।
কিন্তু দেশটির সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াচ্ছে বেইজিং। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংকট মোকাবিলায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন ধাপের সমাধান প্রস্তাব করেছেন। ন্যাপিডতে সাম্প্রতিক এক সফরে এ প্রস্তাব দেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গেল সপ্তাহে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের জেনারেল লি জুয়োচেং মিয়ানামরের সেনাপ্রধান মিন অং হলেইংকে বলেছেন, দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর উচিত যোগাযোগ জোরদার করা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মিন অং হলেইং।