আপনি জানেন দুধ ও রসুন একসাথে খেদুধ ও রসুন খুবই উপকারী দু’টি খাবার। এদের রয়েছে স্বাস্থ্যগত অনেক গুণ। জানেন কি দুধের মধ্যে রসুন মিশিয়ে খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকার। দুধকে আদর্শ খাবার বলা হয়।
এর মধ্যে মানবশরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব উপাদানই রয়েছে। আর রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান, রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে রসুন ও দুধের উপকারিতার কথা।
রসুন দুধ এর উপকারিতা
• রসুন দুধ অ্যাজমা প্রতিরোধে কাজ করে।
• সপ্তাহে তিনবার রসুন-দুধ পানীয় খেলে নিউমোনিয়া কমতে সাহায্য হয়।
• এই পানীয় শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিরোধ করে, রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। তবে অবশ্যই দুধটি লো ফ্যাট হতে হবে।
• নিয়মিত এই পানীয় পান করলে আরথ্রাইটিসের সমস্যা কমবে।
• রসুন-দুধ ঘুমের সমস্যা প্রতিরোধে উপকারী।
• ঠান্ডা-কাশি কমাতে রসুন-দুধের পানীয় খেতে পারেন।
• রসুন-দুধ প্রজননক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
রসুন ও দুধ এর পানীয় তৈরি করতে যা যা লাগবে –
•৫০০ এম এল দুধ
•খোসা ছাড়ানো ১০ কোয়া থেঁতলানো রসুন
•দুই থেকে তিন চা চামচ চিনি
•২৫০ এম এল পানি
যেভাবে প্রস্তুত করবেন –
একটি পাত্রে দুধ ও পানি মেশান। এতে রসুন দিন। এরপর ফোটানোর জন্য চুলায় দিন। দুধ জ্বাল দিতে দিতে অর্ধেক পরিমাণ হলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর মিশ্রণটিতে চিনি মেশান। উষ্ণ থাকতে থাকতে পান করুন।
চুলের ভালো করার চেষ্টা করতে গিয়ে আপনি এমন সব ভুল কাজ করতে পারেন যেগুলি আপনার চুলপড়ার সমস্যা বরং আরো বাড়াতে পারে। এমন কিছু ভুল আছে যেগুলি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উভয়েই না জেনে করে থাকেন। শ্যাম্পু করা থেকে শুরু করে চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো আমরা না জেনেই বারবার করতে থাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলো কী।
১. চুলের যত্নে একই সময়ে একাধিক পণ্য ব্যবহার
চুলের যত্নে একই সময়ে একাধিক পণ্য ব্যবহার করাটা আসলেই ক্ষতিকর। একই সময়ে শুধু একটি ব্র্যান্ডের পণ্যই ব্যবহার করা উচিত। আর এ ক্ষেত্রে কোন ব্র্যান্ডের পণ্যটি আপনার বিশেষ ধরনের চুলের জন্য উপকারি হবে তা নিশ্চিত হয়েই ব্যবহার করতে হবে।
২. সঠিক পদ্ধতিতে চুল না আঁচড়ানো
সঠিক পদ্ধতিতে চুল আঁচড়ানোর জন্য আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী চিরুনি বা ব্রাশ বাছাই করতে হবে। কাঠের চিরুনি সব ধরনের চুলের জন্যই উপযোগী। আর ভেজা অবস্থায় চুল বেশি আঁচড়াবেন না। এতে চুল ভেঙ্গে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে।
নারীরা অনেক সময় শুধু চুলের গোড়া আঁচড়ান। খুলির চুল আঁচড়ান না। কিন্তু মনে রাখবেন খুলির চুল আঁচড়ানো এমন একটি ব্যায়াম যা চুল গজানোর হার বাড়ায়।
৩. ঠিকভাবে চুল সাইজ না করা
চুল সেকশন বা ভাগ করার সময় এমনভাব করতে হবে যাতে প্রতিটি সেকশন হালকা থাকে এবং সহজে ম্যানেজ করা যায়। সুতরাং ছোট ছোট করে সেকশন করুন।
৪. ভুলভাবে শ্যাম্পু করা
সঠিক পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করলে চুলপড়ার সমস্যা কমে। প্রথমত, আঙ্গুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে স্ক্রাব করে বা ঘষে-মেজে শ্যাম্পু করুন। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে এমনভাবে ধুয়ে ফেলুন যাতে কোনো শ্যাম্পু না থাকে। এরপর কন্ডিশনার লাগানোর সময়ও চুলের ভেতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ভালোভাবে পাখলান। অতিরিক্ত পানি নিংড়ে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।
৫. ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো
নারী-পুরুষ উভয়েই অলসতার কারণে প্রায়ই ভেজা চুল নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভেজা চুলে ঘুমালে বালিশ বা বিছানার সঙ্গে চুলের সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফলে পরদিন সকালে চুল কুঁকড়ে যায়। এবং চুল পড়া বেড়ে যায়। সুতরাং ঘুমানোর আগে চুল পুরোপুরি শুকিয়ে ঘুমাতে যান। চুল শুকানোর সেরা পদ্ধতি হলো পুরোনো সুতির টি-শার্ট ব্যবহার করা। আর তাড়াতাড়ি চুল শুকাতে চাইলে হেয়ার ড্রায়ার ব্রবহার করুন।
৬. সুইমিং পুলে চুলের দূষণ
আপনি যতই মাথায় সুইমিং ক্যাপ পরেন না কেন সুইমিং পুলে নামলে আপনার চুলে রাসায়নিক দুষণ হবেই। শুকনো চুলে পুলের পানিতে নামলে পুলের পানিতে থাকা রাসায়নিক সহজেই মাথার ত্বকে ঢুকে যায়। যার ফলে চুলের গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়া বাড়ে। সুতরাং পুলে নামার আগে অন্য পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন।
৭. অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার
বেশি বেশি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল তার নিজস্ব আর্দ্রতা এবং তেল হারায়। যার ফলে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এর সমাধান হলো শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার হার কমিয়ে দিন। তবে চুলের সুন্দর লুক ধরে রাখার জন্য শ্যাম্পু করা জরুরি হলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৮. ভুল পদ্ধতিতে চুল শুকানো
আমাদের প্রায় সকলেই লম্বা তোয়ালে ব্যবহার করে চুল শুকাই। আর চুলের যত্নের রুটিনে এটা একটা বড় ভুল। তোয়ালের অমসৃণ সুতা চুলের বহিঃত্বককে উস্কো-খুস্কো করে তোলে। যার ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। তারচেয়ে বরং ভেজা চুলে তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন ১০ মিনিট। চুলের পানি শুষে নেওয়ার পর তোয়ালেটি সরিয়ে ফেলুন। এরপর একটি পুরোনো টি-শার্ট দিয়ে চুল মুছে ফেলুন। চুল শুকানোর পর সঠিকভাবে চুল আঁচড়ান।
৯. ধোয়ার পরে চুল ব্রাশ করা
চুল জট বাঁধা এবং ক্ষয় বেশি হয় এইমাত্র ধোয়া চুলে। ধোয়ার পরপরই চুলে ব্রাশ করতে চাইলে চুলও পড়ে অনেক বেশি। সুতরাং এখন থেকে শ্যাম্পু করার আগে বা ধোয়ার আগে চুল ব্রাশ করুন। এতে জটপড়া বা উস্কো-খুস্কো ভাব কমবে।লে কি হয় ? জানলে আর ছাড়তে চাইবেন না ।