টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়কের ডাকাতদের আস্তানা খ্যাত সোনালী ব্যাংক নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ১৪ থেকে ১৬ জনের ডাকাত দলের মধ্যে কয়েকজন চাকমা হলেও বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন ডাকাত আক্রান্ত চালক ও যাত্রীরা। গত ১২ই ডিসেম্বর রাতে হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়কে সোনালী ব্যাংক নামক স্থানে সশস্ত্র ডাকাত দল ব্যরিকেড দিয়ে পনেরটি বিভিন্ন যানবাহনে গণ ডাকাতি করে যাত্রী ও পথচারীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এসময় অনেক যাত্রীদের মারধর করে ডাকাতদল।
ডাকাত আক্রান্ত চালক যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত এশারের সময় প্রতিদিনের মত বিভিন্ন যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। এ সময় সোনালী ব্যাংক নামক স্থানে সশস্ত্র ডাকাত দল ব্যারিকেড দিয়ে শামলাপুরের ৩ টি সিএনজি, ২ টি টমটম, হোয়াইক্যংয়ের ৪ টি সিএনজি ১ টি টমটম, ২ টি অটো রিকশা পালংখালী এলাকার একটি ডাম্পারসহ আরো কয়েকটি যানবাহনের যাত্রী ও চালককে অস্ত্র ঠেকিয়ে গণ ডাকাতি করে। এতে অনেক চালক ও যাত্রীকে মারধরও করে সশস্ত্র ডাকাত দল। যাত্রী ও চালক ধারণা করেন নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতদল লুট করে। সিএনজি চালক মহি উদ্দিন বলেন, নগদ টাকা মালামাল দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে বেধড়ক মার ধর করা হয়। মাটিতে ফেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে সারা দিনের ভাড়া বাবৎ দুই হাজার টাকা ও এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। চালক মোঃ শফিক, মোঃ ফারুখ ও জিয়াউর রহমানের একই কথা। তারা বলেন, ডাকাত দলের হাতে ৬ টি অস্ত্র, ৪ টি কিরিচ ও ২ টি লাঠি দেখেছি। ডাকাতদলের নেতৃত্ব চাকমারা দিলেও বেশীর ভাগ ছিল রোহিঙ্গা। ডাম্পার চালক জানান, অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
হোয়াইক্যং সিএনজি মাহিন্দ্রা টমটম ও শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, বিষয়টি দঃখজনক। পাশাপাশি দীর্ঘ দিন আগে পুলিশ ও জনতা এই সড়ক থেকে ডাকাত নির্মূল করেছিলেন। ফের এই গণডাকাতি আবারো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছার আগে ডাতাক দল চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে নেয়।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই রাজিব পোদ্দার জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। রোহিঙ্গার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা দিন দিন নানা অপরাধে জড়াচ্ছে।
এছাড়া সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই জায়গায় পুলিশ থাকার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য ৯ থেকে ১০ বছর আগে ওই জায়গা অর্থাৎ হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে গণডাকাতি হত। কয়েক জন ডাকাত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। সম্প্রতি রোহিঙ্গারা ডাকাতিতে সম্পৃক্ত হওয়ায় এই সড়কের যাতায়াতকারী ও চালকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।