ভারতে তাৎক্ষনিক তিন তালাক বিরোধী খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খসড়া আইনে একতরফা তিন তালাক দিলে মুসলিম স্বামীর তিন বছর কারাবাস ও জরিমানার সুপারিশ করা হয়েছে। খসড়া আইনে তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি, অচল বলে অভিহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন আন্তঃমন্ত্রী গোষ্ঠী ওই খসড়া আইনটি তৈরি করেছেন। গোষ্ঠীতে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও তার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পি পি চৌধুরি। ‘মুসলিম উইমেন প্রটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ’ শীর্ষক খসড়া আইনটি নিয়ে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, খসড়া আইনটি আইনটি শুধুমাত্র তাৎক্ষনিক তিন তালাকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এই আইনের জোরে তিন তালাক পাওয়া মহিলা নিজের ও নাবালক সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হতে পারবেন, শিশুসন্তানদের নিজের হেফাজতে রাখার দাবিও পেশ করতে পারবেন। গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির সব কটি রাজ্যের কাছে এ ব্যাপারে মতামত চেয়েছিল। শুক্রবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই খসড়টিতে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর বাদে দেশের সর্বত্র তিন তালাক সংক্রান্ত যাবতীয় বিবাদের মীমাংসা হবে এই নতুন আইনে। নতুন আইনে মৌখিক, লিখিত বা ইলেকট্রনিক, যে কোনও ভাবে ঘোষিত তাৎক্ষনিক তিন তালাক নিষিদ্ধ ও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষিত হয়েছে। গত আগস্টে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে তাৎক্ষনিক তিন তালাক বেআইনি, সংবিধান বিরোধী বলে জানিয়ে দেওয়ার পরও ৬৭টি তাৎক্ষনিক তিন তালাক দেওয়ার ঘটনার কথা জানা গেছে। তাৎক্ষনিক তিন তালাক দেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে।