যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোন রকমের শর্ত ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাব দিলেও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার আচরণে উন্নতি এবং পরিবর্তন না আসলে দেশটির সঙ্গে কোনো ধরণের আলোচনা হবে না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বুধবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যেহেতু সম্প্রতিও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া, তাই আলোচনার জন্য এটি সঠিক সময় হতে পারে না। উল্লেখ্য, শর্তহীনভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে টিলারসনের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেন নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প। তবে হোয়াইট হাউজের এ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য টিলারসনের প্রস্তাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুললো। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বলে আসছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে কোনো ধরণের আলোচনা শুরুর আগে উত্তর কোরিয়াকে অবশ্যই তার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আটলান্টিক পলিসি ফোরামের সম্মেলনে টিলারসন উত্তর কোরিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নমনীয় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া চাইলে নিঃশর্ত আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণাকে ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছিলো, উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে আক্রমণাÍক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ট্রা¤প। তবে বুধবার হোয়াইট হাউসের দেয়া ওই বক্তব্যে এটি পরিষ্কার হয়ে গেলো যে, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে এখনো দৃঢ় মনোভব পোষণ করছে ট্রা¤প প্রশাসন। বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের আচরণে কোন মৌলিক পরিবর্তন দেখা না যায়, ততদিন পর্যন্ত আলোচনায় বসার কোন পরিবেশ তৈরি হচ্ছেনা। অবশ্য, টিলারসনের নিঃশর্ত আলোচনার মন্তব্যকে উদ্দেশ্য করা বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে যেহেতু সহজ আলোচনার কথা বলেছেন, এটিও যুক্ত হবে। তবে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, উত্তর কোরিয়াকে অবশ্যই পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়াসহ পররাষ্ট্র নীতির বিভিন্ন বিষয়ে টিলারসনের সঙ্গে ট্রা¤েপর দূরত্ব আছে এবং প্রশাসনের ভেতরেও যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রভাব কমছে তা নিয়ে এর আগেও ধারণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সমূহ। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে টিলারসন এবং হোয়াইট হাইজের ভিন্ন অবস্থানে তা আরো প্রকটভাবে ফুটে উঠলো।