মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে সারা দেশে উদযাপিত হয়েছে বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকী। জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষ বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ বীর শহীদকে। যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ। স্মৃতিসৌধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন অনেকে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা, দেয়া ও মিলাদ মাহফিল। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিকালে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের করে। বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ আয়োজন করেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। বিদসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা করা হয়। রাজধানীর সড়কগুলোকে সাজানো হয়েছিল জাতীয় ও রঙবেরঙের পতাকায়। দিনের শুরুতেই শনিবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬ টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। তখন তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাদের সালাম জানায়। এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি আবারও প্রদ্ধা জানান। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র ঘরে গণতন্ত্র নেই তাই দেশের গণতন্ত্র তাদের চোখে পড়ে না। বাংলাদেশে গণত্রন্ত্র নেই বিএনপি’র নেত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, কি কারণে দেশে গণতন্ত্র নেই, এটা তাকেই জিজ্ঞেস করবেন। সম্প্রতি ঢাকায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর যে দু’টি বর্ণাঢ্য সম্মেলন হয়ে গেলো, এটাই বড় প্রমাণ যে দেশে গণতন্ত্র আছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও আমাদের বিজয়কে আমরা পুরোপুরি সংহত করতে পারিনি। বিজয়কে সংহত করার সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। তাই সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষটি সমূলে উৎপাটন করাই আজকে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটির শীর্ষ নেতারা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল সোয়া ১১টার দিকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এ সময় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড. আবদুল মঈন খান, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমান উল্লাহ আমানসহ, দলের সিনিয়র নেতাকর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার যাত্রায় গণতন্ত্রকে অন্যতম আদর্শ হিসেবে অভিহিত করে বলেন তা বার বার বিঘ্নিত হচ্ছে । তিনি বলেন, একাত্তর সালে স্বাধীনতার যাত্রা শুরু করেছিলাম দু’টি আদর্শ নিয়ে, একটি হচ্ছে গণতন্ত্র; আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, তার খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির যে আদর্শ, সেই আদর্শ নিয়ে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হয়ে ৪৭ বছরে যাচ্ছি, সেই প্রশ্নগুলো এখন নতুন করে জেগে উঠছে। আমরা বিশ্বাস করতাম পাকিস্তানের যে কাঠামো, সেই কাঠামোতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয় সেটাই কিন্তু একটা মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেজন্যই আমরা অত্যন্ত জোর গলায় বলেছিলাম, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ চাই। অথচ বারবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমান সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আজকের যে সংসদ, সেই সংসদের দিকে তাকিয়ে দেখুন তৃণমূলের যে কোনো একজন মানুষকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, এখানে কেউ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে? ৩০০ আসনের ১৫৪ জন ভোট ছাড়া নির্বাচিত। বাকি ১৪৬ জন নির্বাচিত হয় শতকরা ৫ শতাংশ ভোটে। এ কারণেই কি আমরা বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। একে একে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংগঠন বীর শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। একাত্তরের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো ফুলের তোড়ায় ভরে উঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ দিনভর ভিড় করেন স্মৃতি সৌধে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে তারা কণ্ঠে ছিল সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষপস্তবক অর্পণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-শিক্ষার্থী, সরকারি কর্ম কমিশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেডিসি), সোনালী ব্যাংক, সচেতন নাগরিক কমিটি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ পশু সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই), বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, গণবিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইন্সটিটিউট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গামের্ন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ), শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), বাংলাদেশ গামের্ন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিট, এডাব, এনজিও সমন্বয় পরিষদ সাভার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, ঢাকা জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, সচেতন নাগরিক কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন, সাভার প্রেস ক্লাব, আশুলিয়া প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজয় দিবসে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গতকাল এক আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, আধাসামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এবং সশস্ত্রবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় সাভারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। প্রসিডেন্ট আবদুল হামিদ প্যারেড কমান্ডেন্ট মে. জে. মো. আকবর হোসেনের সঙ্গে একটি খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন ও স্যালুট গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং এ সময় তিনি আকাশে বিমানবাহিনীর মহড়াসহ সশস্ত্রবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ ও রেজিমেন্টের বিভিন্ন ধরনের রণকৌশল মহড়া উপভোগ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামুদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এশরার, সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই প্যারেড বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারত ও রাশিয়ার সেনা সদস্যবৃন্দ দেশের ৪৭তম বিজয় দিবস উদ্যাপনে যোগ দিতে সস্ত্রীক ঢাকায় এসে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর চলমান উন্নয়ন এবং দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, মিগ-২৯ বিমান মহড়াসহ বিভিন্ন এয়ারক্রাফ্ট মহড়া, নৌবাহিনী ও র্যাব’র প্যারাট্রুপারদের হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ দেখানো হয়। আর্মি এভিয়েশনের এয়ারক্রাফট, নেভি এভিয়েশন এবং র্যাব হেলিকপ্টার থেকে প্যারাট্রুপারদের আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসা দর্শকদের মুগ্ধ করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন যোগ হওয়া মাল্টি লাঞ্চিং রকেট সিস্টেম, এমবিটি-২০০০ ট্যাঙ্ক, সেলফ্ প্রপেল গান, আর্মারড লাইট ভেহিকেল এবং ওয়েপন লোকেটিং রাডার এসএলসি-২, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন যোগ হওয়া ডিফেন্ডার ক্লাস বোট এ সময় প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজ শেষে আতশবাজির পর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এতে অংশ নেয়া বিভিন্ন ইউনিটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও কমান্ডারদের সঙ্গে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দল ও সংঠনের নেতৃবন্দ ও কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বরণে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন ও এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বন ও পবিেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।