সকালে হাসিমুখে সানজামুল ইসলামকে অভিষেক টুপি পরিয়ে দিলেন আবদুর রাজ্জাক। মুখের হাসিটা দেখা গেলেও তাঁর হৃদয়ের রক্তক্ষরণটা বোঝার উপায় নেই।
সাকিব আল হাসান চোটে পড়ায় হঠাৎই দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে রাজ্জাককে। ওই পর্যন্তই; চট্টগ্রাম টেস্টে রাজ্জাক যে খেলছেন না, সেটি জানা গেছে কালই। আকস্মিক ডেকে এনে কেন একাদশে সুযোগ দেওয়া হলো না ৩৫ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারকে, সেটি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । কেন নেই—উত্তরটা জানতে গিয়ে জানা গেল রাজ্জাকের সামনে আরও বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে আছে।
এই টেস্টে তো নেই-ই। পরের টেস্টের স্কোয়াডেও রাজ্জাককে রাখা হচ্ছে না। যেহেতু মনে ধরেনি, তাই তাঁকে বইতে চাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। কাল-পরশু হয়তো ছেড়ে দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘সাকিবের বিকল্প খুঁজতে ওকে একটু দেখতে চেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তার চেয়ে সানজামুলকেই ভালো মনে হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ১৪ জন রেখে ওর সঙ্গে আরেকজনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামেই সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন রাজ্জাক। চট্টগ্রামে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই যখন আবারও ফেরার আশা করেছিলেন, সেখানেই জন্ম আরেক বিয়োগান্ত নাটকের। রাজ্জাককে নিয়ে ‘খেলা’টা একটু বেশিই হয়ে গেল না?