আরজে রাফি সম্পাদনায় , স্বদেশ নিউজঃ
ভারতের পুনে বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করলে অনেকটাই আধুনিক হলেও কুসংস্কারে ছেয়ে আছে। বছরের পর বছর ধরে সেখানকার কিছু সম্প্রদায়ের লোকজনের বিয়ের পর নববধূকে সতীত্ব পরীক্ষা দিতে হয়।
সতীত্ব পরীক্ষায় যদি ওই নারী উতরে যেতে পারেন, তাহলে তাকে সমাজ মেনে নিলেও অন্যদের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার যেন শেষ থাকে না।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনজন তরুণ এ কুসংস্কারের প্রতিবাদ করেন। জনতা তাদের গণধোলাই করেছে। তবে থেমে যায়নি ওই তরুণরা। তারা প্রথাটি বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাতে থাকে।
তারা বলছেন, বিয়ের পর একটি ঘরে নব দম্পতিকে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন সবাই। অবশ্য ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার আগে একটা সাদা কাপড় ধরিয়ে দেওয়া হয় দম্পতিকে।
বাইরে বেরিয়ে আসার পর ওই কাপড়ে রক্ত দেখাতে পারলেই কেবল বিয়ে মেনে নেয় সমাজ। অন্যথায় নববধূকে মারধরের মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটানো হয়।
একজন নারী বলছেন, আমি বিয়ের পর এ ধরনের প্রথা মানতে রাজি হইনি। তার পরেও আমাকে দিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আমার স্বামীকেও এ ব্যাপারে বলেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। ওইদিন আমার স্বামী বেশ অসুস্থ্য থাকা সত্ত্বেও তারা ওই রকম পরীক্ষা নিয়েছে আমাদের।
তিনি আরো জানান, সেখানে এ ধরনের পরীক্ষা ছাড়া কোনো দম্পতিই সংসার শুরু করতে পারে না। এমনকি কেউ সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে সমাজের সবাই তাকে কলঙ্কিত মনে করে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ওই তরুণদের প্রহার করা ব্যক্তিদের চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের আটকের চেষ্টার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এমনকি ওই এলাকায় গিয়ে প্রথাটি বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা