স্বদেশ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নাব্য সংকটের কারণে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ফরিদপুর নদীবন্দরে লাইটারের মাঝারি ও বড় সাইজের জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এতে নদী বন্দরটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছে বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক। অন্যদিকে নাব্য সংকট দূর করতে বিআইডব্লিউটিএর একটি ড্রেজার আনলেও ১৫ দিন যাবত তা বন্ধ বলে জানান স্থানীয়রা।
২০১৫ সালে ফরিদপুরের সিএ্যান্ডবি ঘাটকে ফরিদপুর নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণার পর ২০১৭ তে এটিকে বন্দর হিসেবে ইজারা দেয়া হয়।
গেলো বছরের নভেম্বরের শুরুর দিকে পদ্মা নদীর হাজীগঞ্জ থেকে নদীবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নাব্য সংকট দেখা দেয়। এরপর থেকে বন্দরে ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী মাঝারি ও বড় ধরনের জাহাজ।
জাহাজ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, আমরা ভিষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সিএ্যান্ডবি ঘাট থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে নাব্য সংকটের কারণে জাহাজ ও ট্রলার কিছুই এ ঘাটে আসতে পারছে না।
নাবিকরা জানান, নাব্যর কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মালামাল ঠিকমতো খালাস করতে না পারায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন তারা। পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক।
বন্দরের এক নাবিক আরটিভি অনলাইনকে জানান, ছোট ছোট নৌকায় করে মালামালগুলো আনা হচ্ছে। যাতে করে আমাদের দ্বিগুণ খরচ পড়ছে। যা আমাদের ব্যবসার জন্য অনেক ক্ষতি।
বন্দরে কর্মরত এক শ্রমিক আরটিভি অনলাইনকে জানান, এখানে ল্যাবারের কোনো ইনকাম হয় না বিধায় তারা চলে যায়। জাহাজও এই বন্দরে থাকে না।
বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের গাফিলতির অভিযোগ করে ইজারাদাররা বলছেন, সমস্যা সমাধানে একটি ড্রেজার আনা হলেও কয়েকদিন ধরে তা বন্ধ রয়েছে।
নাফিজুল হোসেন তাপস নামের এক ইজারাদার জানান, একমাস নদী কাটা হলেও আমরা ব্যবসায়ী সমাজ তার কোনো উপকার পেলাম না। এজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই সিএ্যান্ডবি ঘাট ও নদীবন্দর সচল করে আমাদেরকে বাঁচান।
বন্দরের সুবিধা নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের সমস্যা বিবেচনায় দ্রুত ঘাটটি সংস্কারের দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।