রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ রাজধানীতে প্রায় দুই বছর ধরছে চলছে ফুটপাত সংস্কারের কাজ। এর মধ্যে কোথাও কোথাও নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙেচুরে গেছে টাইলস। এতে ফুটপাতের কোথাও কোথাও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর কোথাও কোথাও ফুটপাতের তল দিয়ে যাওয়া নালার মুখ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কিন্তু ফুটপাত সংস্কারে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ফুটপাত আবার মেরামত করা হচ্ছে। আগের ব্যবহারোপযোগী ফুটপাত ভেঙে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। অথচ সংস্কারের অভাব আর হকারদের দখলের কারণে কয়েক স্থানে ফের ভেঙেছে ফুটপাত। এতে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে পথচারীরা।
বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার সংস্কার করা হলেও অনেক বছর ধরে অবহেলায় ভাঙাচোরা অবস্থায় মহাখালী এলাকার ফুটপাত। এসব ফুটপাতে চলাচলের জন্য যথেষ্ট ভালো অংশ নেই। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। কিন্তু জর কেউ হেঁটে গন্তব্যে যেতে হলে তাকে পেরোতে হবে সৌন্দর্যবর্ধনের জ্বালা। ক্ষণে ক্ষণে ধুলোবালি গ্রাস করবে তাকে।
অথচ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকার ফুটপাত কিংবা সড়ক এত খারাপ ছিল না যে সেগুলো এখনই ভেঙে এমন ছন্নছাড়া করতে হবে।
রোববার দুপুরে গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের ফুটপাতেই চলছে সংস্কারকাজ, যেগুলো কদিন আগেও ভালো ছিল। কোথাও আগের ফুটপাত ভেঙে ইট-পাথর-ঢালাই আশপাশে স্তুপ করা, কোথায় নতুন করে বালু ফেলা হয়েছে কিংবা ঢালাই দেয়া হয়েছে। এগুলোতে এখন বসবে টাইলস।
সরেজমিনে কাওরান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কের ফুটপাতের করুণ অবস্থা চোখে পড়ে। ফুটপাতের কোথাও এক থেকে দেড় ফুট প্রশস্ত, তারও আবার কিছু কিছু অংশ ভাঙা। মেরামতের অভাবে এখানকার অধিকাংশ ফুটপাত জরাজীর্ণ। স্থানীয় এক হকার জানান, কয়েক মাস ধরে তিনি দেখছেন এই ফুটপাত মেরামতের আয়োজন। কিন্তু মেরামত শেষ হয় না।
ভাঙা ফুটপাত জুড়ে বালু জড়ো করা। যেটুকু ফুটপাত আছে তা পথচারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশস্ত নয়। কোথাও কোথাও এমন সংকীর্ণ যে দুজন লোক পাশাপাশি হওয়া যায় না। ফলে চলার পথে মুখোমুখি হলে কোনো একজনকে সড়কে নেমে যেতে হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কিছু স্থানে এখনো সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। ফলে পথচারীদের আরো কিছুদিন একটু কষ্ট করতে হবে। আমি আশাবাদি, দ্রুততম সময়েই কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, নির্মাণে পর এত দ্রুত ভেঙে যাবার কথা না। সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমি সমস্যাটি খতিয়ে দেখতে বলবো।